জয়দীপ মৈত্র,দক্ষিন দিনাজপুর,০২ নভেম্বর : বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে ভর সন্ধ্যায় এক গৃহস্থের বাড়ির একাধিক তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকেছিল এক দুষ্কৃতি । তারপর সে আলমারির লকার ভেঙে সোনার গহনাসহ দামি দামি সামগ্রী বগলদাবা করতে শুরু করে । ইতিমধ্যে কিশোরী মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন গৃহকর্তী ৷ চোখের সামনে লুটপাটের ঘটনা দেখে তাঁরা কার্যত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন । মা ও মেয়ে চিৎকার করতেই তাঁদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে কয়েক লক্ষ টাকার গহনাসহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে ওই দুষ্কৃতি চম্পট দেয় । সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বড়াইল এলাকায় । মহিলা ও তাঁর মেয়ের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে চোরের পিছু ধাওয়া করে । কিন্তু তাঁরা চোরের হদিশ করতে পারেনি । ওইদিন রাতেই এনিয়ে বংশীহারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বীথিকা বিশ্বাস নামে ওই মহিলা । যদিও মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত চুরির কোনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ । এদিকে কালীপূজার প্রাক্কালে এই চুরির ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ।
বীথিকা বিশ্বাস জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে নাচের প্রশিক্ষণ নেয় । প্রতিদিনের মতই সোমবার বিকেলেও বাড়িতে তালা লাগিয়ে মেয়েকে আনতে গিয়েছিলেন । সন্ধ্যা নাগাদ তাঁরা বাড়ি ফিরে আসেন । দেখেন গেটের তালা ভাঙা । তিনি বলেন, ‘ঘরে ঢুকেই দেখি এক ব্যক্তি আলমারির লকার ভেঙে লুটপাট চালাচ্ছে । এই দেখে আমি ও আমার মেয়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার করি । তখন ওই দুষ্কৃতি আমাদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে পালিয়ে যায় । ইতিমধ্যে প্রতিবেশীরাও ছুটে আসেন । তাঁরা দুষ্কৃতির পিছু ধাওয়া করে । কিন্তু সে মাঠের জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে গেলে তার আর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি ।’ বীথিকাদেবী জানিয়েছেন,তাঁর,তাঁর স্বামী ও দুই মেয়ে মিলে ৭-৮ ভরি সোনার গহনাসহ দামি দামি সামগ্রী চুরি করে নিয়ে পালিয়েছে ওই দুষ্কৃতি । তবে কিছু সামগ্রী আকৃতিতে বড় হওয়ায় সেগুলি নিয়ে যেতে পারেনি । বাড়ি ফিরতে আর একটু দেরি করলে ওই দুষ্কৃতি সেগুলোও নিয়েও পালাতো তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ।
এদিকে ঘটনার পরই খবর পেয়ে ছুটে আসে বংশীহারী থানার পুলিশ । পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা ওই দুষ্কৃতিতে অবিলম্বে গ্রেফতার করে চুরি যাওয়া মালপত্র উদ্ধারের জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানান । স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বুনিয়াদপুরসহ সমগ্র বংশীহারী ব্লক জুড়ে মাঝে মাঝেই চুরির ঘটনা ঘটেছে । ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।।