প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০১ নভেম্বর :কোভিড পরিস্থিতি কাটিয়ে ট্রেন পরিষেবা চালু হতে না হতেই সোমবার থেকে তিন গুন বেড়ে গেল লোকাল ট্রেনের ভাড়া।যা নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে বর্ধমান- রামপুরহাট ও বর্ধমান-আসানসোল লাইনের লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে। পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের মতোই লোকাল ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধি কোন ভাবেই চাইছেন না ট্রেন যাত্রীরা । রেল দপ্তর বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করুক, এমনটাই চাইছেন বর্ধমান- রামপুরহাট ও বর্ধমান-আসানসোল লাইনের লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা ।
কোভিড অতিমারি কারণে দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ মাস
এই রাজ্যে বন্ধ ছিল লোকাল ট্রেন পরিষেবা । নবন্নের ছাড়পত্র মেলার পর রবিবার থেকে রাজ্যের সমস্ত রেল পথে পূর্বেকার মতোই শুরু হয় লোকাল ট্রেন চলাচল । এরপর রাত কাটতে না কাটতেই সোমবার থেকে বর্ধমান- রামপুরহাট ও বর্ধমান- আসানসোল লাইনে লোকাল ট্রেনে যাতায়াতের বাড়া প্রায় তিন গুন বেড়ে যায় । বেড়ে যাওয়া সেই ভাড়া মিটিয়েই এদিন ট্রেনে চড়তে হয় যাত্রীদের। যদিও লোকাল ট্রেনের যাত্রী ভাড়া অপরিবর্তিতই রাখা হয়েছে বর্ধমান-হাওড়া মেইন ও কর্ড শাখায়। যাত্রীরা জানিয়েছেন ,লোকাল ট্রেনে বর্ধমান থেকে গুসকরা যাওয়ার ভাড়া এতদিন ছিল দশ টাকা।একই দূরত্বে সোমবার থেকে ভাড়া বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা।একই ভাবে বর্ধমান থেকে বোলপুর স্টেশন পর্যন্ত যাওয়ার ভাড়া ১৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা।আর তা নিয়েই যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ চরমে পৌঁছেচে ।
বর্ধমান স্টেশনের ম্যানেজার স্বপন অধিকারী এই বিষয়ে বলেন,“বর্ধমান হাওড়া মেইন ও কর্ড শাখায় ইএমইউ লোকাল ট্রেন চলে । তাই ওই পথে লোকাল ট্রেনের ভাড়া বাড়েনি।তবে যে ’মেমু’ রেলপথ শাখায় (M, E, M,U) লোকাল ট্রেন চলে সেখানেই লোকাল ট্রেনের ভাড়া বেড়েছে। বর্ধমান-কাটোয়া শাখাতেও যেহেতু ইএমইউ ট্রেন চলে তাই সেখানেও যাত্রী ভাড়া বাড়েনি ।’ নির্দেশিকা ছাড়াই হাঠাৎ করে ’মেমু’ লাইনে চলাচলকারী লোকাল ট্রেনের যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধির প্রকৃত কারণ যদিও স্পষ্ট করতে পারেননি স্টেশন ম্যানেজার ।
এই বিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন,
“রেল বোর্ডের নির্দেশ অনুয়ায়ী প্যাসেঞ্জার ও ’মেমু’ ট্রেনে অসংরক্ষিত টিকিটের ভাড়া নেওয়া হয়েছে । কারণ অতিমারি পরিস্থিতিতে প্যাসেঞ্জার ও ’মেমু’ ট্রেন স্পেশাল হিসাবে চলছে ।’।