শ্যামসুন্দর ঘোষ,মন্তেশ্বর(পূর্ব বর্ধমান),৩১ অক্টোবর : একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনকভাবে মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর থানার খান্দড়া গ্রামে ৷ পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম উৎপল চট্টোপাধ্যায়(৪৫),মালবিকা চক্রবর্তী(৫০) ও কৌশিক চক্রবতী(২২) । মৃতদের মধ্যে মালবিকাদেবীর ভাই উৎপল ও ছেলে কৌশিক । রবিবার সকালে খবর পেয়ে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে । এদিকে একই পরিবারের ৩ ব্যক্তির মৃত্যুর কারন নিয়ে ধন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,মালবিকা চক্রবর্তীর বাপের বাড়ি নাদনঘাট থানার দীকপাড়ায় । শ্বশুরবাড়ি মন্তেশ্বর থানার কাঁন্দারা গ্রামের চক্রবর্তী পাড়ায় । বেশ কয়েক বছর আগে মালবিকাদেবীর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে । তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে । মেয়ে রিয়ার গ্রামেই বিয়ে হয়েছে । মালবিকাদেবীর ভাই উৎপল চট্টোপাধ্যায় মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন না বলে জানা গেছে । তিনি বেশ কয়েক বছর ধরেই দিদির কাছেই ছিলেন ।
জানা গেছে,শনিবার মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন মালবিকাদেবী । সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে ও ভাই । রাত্রি প্রায় ১১ টা নাগাদ তাঁরা বাড়ি ফেরেন । বাড়ি ফিরে এসে নিজের ঘরে ঘুমতে যান উৎপলবাবু । অন্য আর একটি ঘরে ছিলেন মালবিকাদেবী ও তাঁর ছেলে ।
এদিন অনেক বেলা পর্যন্ত তাঁদের কেউ ঘুম থেকে উঠছেন না দেখে প্রতিবেশীরা অনেক ডাকাডাকি করেন । শেষে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে মালবিকাদেবীর মেয়ের বাড়িতে খবর দেওয়া হয় । এরপর মেয়ে জামাইয়ের উপস্থিতিতে দরজার খিল ভেঙে ঘরে ঢুকলে মালবিকাদেবী ও তাঁর ছেলের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় । অন্য ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে কাপড়ের ফাঁস দেওয়া উৎপলবাবুকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায় । স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান,দিদি ও ভাগনেকে ঘুমের ওষুধ বা বিষ খাইয়ে মেরে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন উৎপল চট্টোপাধ্যায় । পুলিশ জানিয়েছে,মৃতদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে ।।