প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৪ অক্টোবর : পুলিশের দুঁধে অফিসাররা তদন্তে নামলেও জট কাটছে না । প্রতি মুহুর্তে পুলিশকে বদলাতে হচ্ছে খুনি চিহ্নিতকরণের ছক।পূ্র্ব বর্ধমানের রায়নার দেরিয়াপুর গ্রামের দেশ বাড়িতে বেড়াতে আসা কলকাতার ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডলকে কারা খুন করলো তাহলে?ঘটনার পর থেকে ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে যাবার পর এই প্রশ্নের উত্তর এখনও হাঁতরে বেড়াচ্ছেন তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা । খুনিদের নাগাল পেতে রবিবার সিআইডি ও ফরেন্সিক দল দেরিয়াপুর গ্রামে তদন্তে যায় । ছেলেকে নৃশংস ভাবে খুনের ঘটনায় জড়িতরা কবে ধরা পড়ে সেদিকেও তাকিয়ে রয়েছেন নিহত ব্যবসায়ীর পরিবার ।
বন্ধু রাজবীর সিং কে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার হাওড়ার শিবপুরের বাড়ি থেকে রায়নার দেরিয়াপুরের দেশ বাড়িতে বেড়াতে আসেন ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডল (৩৮)।ওই দিন রাতে ওই বাড়িতেই তিনি খুন হন । দুস্কৃতিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে ব্যবসায়ীকে খুন করে পালায়।ময়নাতদন্তে তাঁর দেহের ২৯ টি জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ধরা পড়েছে। ব্যবসায়ীকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর বন্ধু রাজবীর সিংও চোট পান। এই খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ব্যবসায়ীর গাড়ির চালক আলো সাউ ও রাঁধুনি পার্থ সান্যাল কে নিজেদের কব্জায় নিয়ে জেরার পর জেরা চালিয়ে যাচ্ছে । যদিও খুনের রহস্য উন্মোচন এখনও হয়নি বলে খবর ।
এদিকে ঘটনার পরদিন মৃত ব্যবসায়ীর বাবা দেবকুমার মণ্ডল রায়না থানায় লিখিত অমিযোগ দায়ের করে দাবি করেন ,তাঁর ছেলেকে খুনের ঘটনা নিয়ে তাঁর ভাই গৌরহরি মণ্ডল ,তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমাদেবীও দুই ভাইপো দীনবন্ধু ও সোমনাথ জড়িত রয়েছে । এরাই সুপারি কিলারদের দিয়ে সব্যসাচীকে খুন করিয়েছে বলে দেবকুমারবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন ।
এদিন বিকালে ফরেন্সিক দলের সিনিয়র সায়েন্টিস্ট চিত্রাক্ষ সরকার ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিন) আমিনুল ইসলাম খাঁনও সেখানে উপস্থিত থাকেন। ফরেন্সিক টিম বাড়িটির বিভিন্ন জায়গা ঘুরে তিনি রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে । রায়না থানার হেপাজতে থাকা ব্যবসায়ীয় গাড়িটিও চিত্রাক্ষ বাবু পরীক্ষা করেন । পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে চিত্রাক্ষবাবু পুলিশকে জানিয়েদেন , ‘দোতলা বাড়ির নিচের তলাতে ১০ মিনিটের বেশী সময় নিয়ে একাধীক আততায়ী মিলে খুনের ঘটনাটি ঘটিয়েছে“।এসডিপিও বলেন , ’সন্দেহভাজনদের এখনও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে ।আততায়ীদের নাগাল পেতে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।’।