প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৩ অক্টোবর : গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসে খুন হলেন কলকাতার এক ব্যবসায়ী। মৃতর নাম সব্যসাচী মণ্ডল(৪৪)।শুক্রবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার দেরিয়াপুর গ্রামে ।এই ঘটনার তদন্তে নেমে রায়না থানার পুলিশ ব্যবসায়ীর গাড়ির চালক ও রাঁধুনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তবে কারা কি কারণে ব্যবসায়ীকে খুন করলো সেই বিষয়টি এখনও পুলিশের কাছে পরিস্কার নয়। সুপারি কিলারদের দিয়ে কেউ ব্যবসায়ীকে খুন করালো কিনা সেই বিষয়টিও পুলিশকে ভাবিয়ে তুলেছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডলের দেশবাড়ি রায়নার দেরিয়াপুর গ্রামে । তিনি ও তাঁর পরিবার এখন থাকেন হাওড়ার শিবপুরে। সেখানে তাঁর পলিথিন সামগ্রীর ব্যবসা রয়েছে । শুক্রবার সব্যসাচী মণ্ডল তাঁর এক বন্ধু নাজবীর সিং কে সঙ্গে নিয়ে দেরিয়াপুর গ্রামের দেশ বাড়িতে বেড়াতে আসেন । রাতে দেশবাড়ির ছাদে রান্না হচ্ছিল । নাজবীর সিং এর কথায় জানা গিয়েছে ,ছাদে রান্না যখন চলছিল তখন সেখানেই ছিল সব্যসাচী । সেই সময়ে কেউ নিচে ডাকছে বলে জানিয়ে সব্যসাচীর গাড়ির ড্রাইভার সব্যসাচীকে নিয়ে ছাদে থেকে নিচে নেমে যায়। এর খানিকটা পর তাঁরা নিচে নেমে রক্তাত অবস্থায় সব্যসাচীকে দেখতে পান । ততক্ষণাত তাঁরা সব্যসাচীকে উদ্ধার করেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়েযান বলে বন্ধু রাজবীর সিং ও রাধুনি পার্থ সান্যাল দাবি করেছেন ।যদিও শেষ রক্ষা হয় নি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডলকে মৃত বলে জানান। এই খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে তদন্তে যায় রায়না থানার পুলিশ ।
এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম খাঁন জানিয়েছেন,“ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।
দেরিয়াপুরের বাড়িতে রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে । ব্যবসায়ীর দেহের একাধীক জায়গায় আঘাতের ক্ষত রয়েছে ।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে
বোঝা যাবে কি জাতীয় জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল ।তদন্ত এখন একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো তা জানার জন্য মৃতর পরিবারের লোকজন ছাড়াও এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে এসডিপিও জানিয়েছেন ।।