এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া,০৬ ডিসেম্বর ঃ ক্রমাগত পেট ফুলতে থাকা আর তার সঙ্গে ঘন ঘন বমি,বেশ কিছু দিন ধরে এই উপসর্গ দেখা যাচ্ছিল বধুর । শ্বশুরবাড়ির লোকজন ধরেই নিয়েছিলেন বধু ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন । যথারীতি তাঁকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের স্ত্রী ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডাঃ প্রদীপ করনের কাছে চিকিৎসা করানো হয় । চিকিৎসকের কথা মত বধুর বিভিন্ন পরীক্ষাও করা হয় । কিন্তু পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর কার্যত চক্ষু চড়ক গাছ অবস্থা সকলের । কারন বধুর পেটে সন্তান নয়,রয়েছে কেজি দশেকের একটা টিউমার । শেষ পর্যন্ত শনিবার রাতে কাটোয়া শহরের টেলিফোন ময়দান এলাকায় একটি সাধারন বেসরকারি নার্সিংহোমে সফল অস্ত্রপচার করে খোসনেহার বিবি নামে ওই রোগিনীর পেট থেকে বড়সড় ওই টিউমার বের করেন চিকিৎসক প্রদীপ করন । এর আগে কাটোয়ার হাসপাতাল বা শহরের কোনও নার্সিংহোমের কোনও রোগি বা রোগিনীর অস্ত্রপচার করে এত বড় টিউমার বের করার নজির নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । স্থানীয়রা ডঃ করনের সফল অস্ত্রপচারের তারিফ করেছেন ।
জানা গেছে, নদীয়া জেলার কালীগঞ্জ থানার নসিপুরের বাসিন্দা খোসনেহার বিবির স্বামী হাসান শেখ রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে । মাস তিনেক ধরে বধুর পেটা ফুলছিল । তার সঙ্গে মাজগে মাঝেই বমি হচ্ছিল বলে জানা গেছে ।
বধুর শাশুড়ি নইমা বিবি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম বউমা ফের সন্তানের জন্ম দিতে চলেছে। মাস ধরে খেয়াল করি আমার বউমার পেট ফুলতে শুরু করেছে। তাই দিন পাঁচেক আগে কাটোয়া হাসপাতালের এক স্ত্রী ও প্রসুতি বিশেষজ্ঞের ডঃ প্রদীপ করনের কাছে দেখাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল । তখন তিনি বউমার বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করানোর পর হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন । কিন্তু আমরাই কাটোয়ার ওই নার্সিংহোমে বউমাকে ভর্তি করি ।’
জানা গেছে, নার্সিংহোমে ডাঃ প্রদীপ করনই চিকিৎসা করছিলেন ওই বধুর । তিনি বলেন,” রোগিনীর বিভিন্ন পরীক্ষা করার পর বোঝা যায় পেটের ভেতর বড়সট টিউমার রয়েছে । এরপর অস্ত্রপচার করে ওই টিউমার বের করা হয় ।’ তিনি জানিয়েছেন , বর্তমানে রোগিণী সুস্থ আছে । তাঁকে দু’একদিনের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হবে।।