প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৮ অক্টোবর : শরৎকাল পড়ে গেলেও বেসুরো বরুণ দেব । তাই বেলাগাম বর্ষণে বিরাম পড়ছে না। রবিবার দুপুর থেকে ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায় পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকা । শুরু হয় বৃষ্টিপাত । যা সোমবারও পুরোদস্তুর অব্যাহত থাকে । কখনো টিপটিপ তো আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হয়েই চলেছে।রাত পোহালেই মঙ্গলবার লক্ষ্মী পুজো। তারই মধ্যে এই বৃষ্টি রাজ্যের শস্য গোলায় লক্ষ্মী আরাধনায় বাধ সেজেছে।নিরুপায় হয়ে এদিন কিছু ভক্ত বৃষ্টি মাথায় মিয়েই লক্ষী প্রতিমা, দশকর্মার সামগ্রী ও ফল ফুল কিনতে বের হন।তবে পোজোর বাজার সেভাবে জমে নি । এরই মধ্যে আবহাওয়া দপ্তর ঘোষনা করেছে লক্ষ্মী পুজোয় বেসুরোই থাকদেন বরুন দেব।এই পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে দেবী লক্ষ্মীর ভক্ত সকলেই চাইছেন বেসুরো না থেকে দ্রুত স্বাভাবিক সুর ছন্দে ফিরুন বরুণ দেব ।
কোভিড অতিমারির কারণে গত বছর খুব খারাপ গিয়েছিল লক্ষীপুজোর বাজার। এবছর কোভিড সংক্রমণের দাপট সেই তুলনায় অনেকাংশেই কম ।তার কারণে প্রতিমা শিল্পী থেকে শুরু করে ফল-ফুল ও দশকর্মার ব্যবসায়ী সকলেই ভালো বিক্রী বাটার আশায় বুক বেঁধেছিলেন । কিন্তু বরুণ দেব বেসুরো থাখায় তাঁদের সকলেরই মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে ।
ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের কথায় জানা গিয়েছে,
অন্যবারের তুলনায় এবছর প্রতিমার দাম একটু বেড়েছে। ছোট মূর্তি ১০০টাকার আশেপাশে থাকলেও বড় সাজের প্রতিমার দাম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। আর বাঁশ ও খড়ের কাঠামোয় মাটির প্রলেপ দিয়ে তার উপর রঙ করে সাজানো লক্ষ্মী প্রতিমার দাম দাম আরো অনেক বেশি।তবে ফলের দাম এবছর লাগামছাড়া পর্যায়ে না পৌছালেও সবজির বাজা দর আগুন ছোঁয়া । লক্ষ্মী ভক্তরা তাই অনেক মেনু কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছেন । বর্ধমানের বাজারে সোমবার আপেল ও নাসপাতি বিক্রি হয় ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরের মধ্যে ।খেজুর ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রী হয় । এছাড়াও কলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা ডজন দরে ও মুসম্বি লেবু ১০-১৫ টাকা পিস ,শশা ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রী হয় ।
ক্রেতা কৃষ্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,’বৃষ্টিতে ভিজেই তাঁকে কেনাকাটা সারতে হল । এমন ভাবে জলে ভিজে আগে কখনও তিনি লক্ষ্মী পুজোর বাজার করেন নি ।তাই অল্প স্বল্প করেই পুজোর বাজার সারতে হল বলে কৃষ্ণাদেবী মন্তব্য করেন’। প্রতিমা বিক্রেতা জয়ন্ত কর্মকার আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ’অবিরাম বৃষ্টির কারণে বাজারে লোকজন কম । অন্য বছর লক্ষ্মী প্রতিমা বিক্রীর বজার লোকের ভিড়ে জমজমাট থাকে । এবছর বৃষ্টির কারণে লোকজন বাইরে না বেরুনোর লক্ষ্মী প্রতিমা বিক্রীর বাজার খুব খারাপ ।’।