দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১১ অক্টোবর : নিছক সময় কাটাতে রঙবেরঙের কাগজ দিয়ে দুর্গাপ্রতিমা গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন পেশায় স্কুল শিক্ষিকা রোশমী পাল । কিন্তু তাঁর তৈরি প্রতিমা স্থানীয় সার্বজনীন ক্লাবের কর্মকর্তাদের এতটাই পছন্দ হয়ে যায় যে প্রতিমাটি তাঁদের পূজো মন্ডপের সৌজন্য বাড়াতে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । কাটোয়া শহরের পাবনা কলোনী সার্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির প্যান্ডেলে প্রদর্শিত হবে ওই স্কুল শিক্ষিকার তৈরি কাগজের দূর্গাপ্রতিমা ।
কাটোয়ার পাবনা কলোনী এলাকায় শ্বশুরবাড়ি রোশমী পালের । তিনি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া এলাকার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন । স্বামী আশীষ পাল আবগারী বিভাগে কর্মরত । স্বামী-স্ত্রী কর্মসুত্রে থাকেন শিলিগুড়ি শহরে । শারদোৎসব উপলক্ষে তাঁরা কাটোয়ার বাড়িতে এসেছেন । রোশমী পাল বলেন, ‘ লকডাউনের সময় স্কুল বন্ধ । বাড়িতে বসে সময় কাটত না । তাই বিভিন্ন খেলনা তৈরির চেষ্টা করতাম । গত বছর থেকেই নিজের হাতে দূর্গাপ্রতিমা তৈরির কথা ভেবেছিলাম । কিন্তু তখন কালিংপয়ে ছিলাম । তাই সম্ভব হয়নি । কিন্তু এবারে কাটোয়ায় এসেছি । তাই রঙিন কাগজ দিয়ে নিজের হাতে দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করতে শুরু করি ।’
একচালের কাগজের আড়াই ফুটের দুর্গাপ্রতিমাটি মাত্র দিন কুড়ির প্রচেষ্টায় তৈরি করে ফেলেছেন রোশমীদেবী । ব্যাবহার করেছেন ঢাকের সাজ । এতটাই নিখুঁত হয়েছে যে পরিবারের লোকজন মূর্তি দেখে আপ্লুত । জানা গেছে, পাড়ার সার্বজনীন পূজো কমিটির সদস্যদের কানে যেতেই তাঁরা একদিন সটান রোশমীদেবীর শ্বশুরলবাড়ি চলে আসেন মূর্তিটি দেখতে । মূর্তিটি দেখে তাঁদের এতটাই পছন্দ হয়ে যায় যে সেটি দেওয়ার জন্য রোশমীদেবীর কাছে তাঁরা আবদার করে বসেন । রোশমীদেবীও এক কথায় রাজি হয়ে যান । সপ্তমীর দিন থেকে মূর্তিটি প্রদর্শনের জন্য প্যান্ডেলে রেখে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পূজো কমিটির সদস্যরা ।।