প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৯ অক্টৌবর : পুজো শুরুর প্রাক্কালে শহর বর্ধমানে গণ ধর্ষণের শিকার হলেন এক মহিলা।বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে শহর বর্ধমানের পারাপুকুর এলাকায় । রাস্তা থেকে মহিলাকে টোটোয় চাপিয়ে পারাপুকুরের একটি গলিতে তুলে নিয়ে গিয়ে গণ ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ । নির্যাতিতা মহিলা এখনবর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ।
এই ঘটনা জানতে পারার পরেই তদন্তে নামে বর্ধমান থানার পুলিশ। শহরের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার সূত্রধরে তদন্ত চালিয়ে পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের নাম অশোক দাস ও অশোক ঠাকুর । প্রথম জনের বাড়ি শহরের রেল কলোনি এলাকায়। আপর ধৃত শহরের গুডস্ শেড রোড এলাকার বাসিন্দা । পুলিশের দাবি টোটোটিরও হদিশ মিলেছে। ধৃতদের এখন ঠাঁই হয়েছে বর্ধমানের শ্রীঘরে ।মহিলা সুস্থ হলে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ধৃতদের শনাক্তকরণের (টিআই প্যারেড)জন্য আদালতে আবেদন করা হবে । শনাক্তকরণের পর ধৃতদের পুলিশি হেপাজতে নিয়ে শুরু হবে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ । এদিকে পুজোর মুখে গণ ধর্ষণের ঘটনা ঘটার খবর জানাজানি হতেই শঙ্কিত বর্ধমানবাসী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ওই মহিলা গলসির নয়া-সন্তোষপুর এলাকার বাসিন্দা ।তাঁর শ্বশুরবাড়ি বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুরে।পুলিশকে নির্যাতিতা জানিয়েছেন,স্বামীর খোঁজে বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি শহর বর্ধমানে আসেন। বাজেপ্রতাপপুরে স্বামীর খোঁজ না পেয়ে তিনি শহরের পুরভবনে উল্টো দিকের একটি জায়গায় ওই রাতে বসেছিলেন। সেই সময়ে একটি টোটো কয়েকজন যুবক তাঁর কাছে আসে । তারা জোরপূর্বক তাঁকে তুলে টোটোয় চাপিয়ে নিয়ে যায়। তারপরে পারাপুকুরের একটি গলির ভিতর নিয়ে গিয়ে ছয় জন যুবক মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে। তার কারণে অসুস্থ হয়ে রাস্তায় পড়ে ছিলেন বলে মহিলা পুলিশকে অভিযোগে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন,অভিযুক্তদের দেখলে চিনতে পারবেন ।পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে নির্যাতিতাকে শুক্রবার ভোরে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে একজন রিকশা চালক তাঁকে তুলে হাসপাতালের কাছে নিয়েগিয়ে রেখে দিয়ে আসে।সেখানকার হোটেল কাজ করা এক মহিলা নির্যাতিতাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান ।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণসিংহ রায় জানিয়েছেন , ‘ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে পুলিশ দ্রুত তদন্তে নামে।মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদেরও খোঁজে তল্লাশি চলছে ।’।