শ্যামসুন্দর ঘোষ,মন্তেশ্বর(পূর্ব বর্ধমান),০৯ অক্টোবর : সকালে ছিল ঝলমলে আকাশ । দুটি প্রতিমাকে মোটরভ্যানে চাপিয়ে পূজো কমিটিকে হস্তান্তর করতে যাচ্ছিলেন জনৈক এক মৃৎশিল্পি । কিন্তু পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর থানার মন্তেশ্বর বাজারে আসতেই শুরু হয় মুশলধার বৃষ্টিপাত । যদিও স্থানীয়দের তৎপরতায় মূর্তির কোনও ক্ষতি হয়নি । একটি দোকান থেকে পলিথিন কিনে প্রতিমাদুটি আষ্টেপৃষ্টে মুড়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা করে দেন মন্তেশ্বরের একটি ক্লাবের সদস্যরা । সমূহ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করায় ওই ক্লাবের সদস্যদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কৃষ্ণচন্দ্র দে নামে ওই মৃৎশিল্পি ।
জানা গেছে,কাটোয়া-১ ব্লকের গিধগ্রামে বাড়ি কৃষ্ণচন্দ্র দের । এদিন তিনি দুটি সার্বজনীন পূজো কমিটির মূর্তিকে দুটি পৃথক মোটরভ্যানে চাপিয়ে কমিটিকে হস্তান্তর করছে যাচ্ছিলেন । মন্তেশ্বর থানার কামাল গ্রামের বাসিন্দা উজ্জ্বল সোম বলেন, ‘আমি তখন মন্তেশ্বর বাজারের একটি দোকানে বসেছিলাম । দেখি দুটি পৃথক মোটরভ্যানে দুটি দুর্গাপ্রতিমা চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । কিন্তু ভ্যানদুটি মন্তেশ্বর বাজারের মাঝামাঝি জায়গায় আসতেই ঝেঁপে বৃষ্টিপাত শুরু হয় । যারা প্রতিমা নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা কার্যত কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন । এই দেখে স্থানীয় দূর্গাপূজো কমিটির ছেলেরা একটি দোকান থেকে পলিথিন কিনে মূর্তিদুটিকে আষ্টেপৃষ্টে মুড়ে দেন । শেষ পর্যন্ত ওই ক্লাবের সদস্যদের তৎপরতায় মূর্তিদুটির কোনও ক্ষতি হয়নি । সৌভাগ্যক্রমে বাজারের মধ্যে বৃষ্টি শুরু হওয়ার ওই মৃৎশিল্পি ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়ে গেছেন । তবে আগে থেকেই ওনার প্রস্তুতি নেওয়া উচিৎ ছিল ।’
মৃৎশিল্পি কৃষ্ণচন্দ্র দে জানিয়েছেন,এদিন দুই পূজো কমিটিকে প্রতিমা হস্তান্তর করতে যাচ্ছিলেন । ওই দুই পূজো কমিটির মধ্যে একটি বর্ধমানের দেওয়ানদিঘির ও অপরটি ভাতার থানার কাঁচগড়িয়া গ্রামের । তিনি বলেন, ‘সকালে পরিষ্কার আকাশ ছিল । বৃষ্টিপাতেরও কোনও পূর্বাভাস ছিল না । তাই সঙ্গে করে কোনও ত্রিপল আনিনি । কিন্তু হঠাৎ যে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে যাবে আমরা আশাই করিনি । যদিও মন্তেশ্বরের বাজারের কিছু যুবকের তৎপরতায় আমি ক্ষতি ও অসম্মানের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে গেছি । ওনাদের কৃতজ্ঞতা জানাই ।’।