দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০২ অক্টোবর : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় ভাগিরথীতে এসে মিশছে অজয় নদ । এদিকে ডিভিসির ছাড়া জলে অজয়ের টইটম্বুর অবস্থা । অজয়ের জল এসে মেশায় ভাগিরথীরও জলস্তর অনেক গুণ বেড়ে গেছে । তাই জলযাত্রীদের সুরক্ষার জন্য পূর্ব বর্ধমান ও নদীয়া জেলার মধ্যে সংযোগকারী কাটোয়া- বল্লভপাড়া ফেরিঘাটটি দু’দিন বন্ধ রাখা হয়েছিল । শনিবার ভোর থেকে ফের ফেরি চলাচলের অনুমতি দিয়েছিল প্রশাসন । তারপর বিভিন্ন কাজ নিয়ে প্রচুর সংখ্যক মানুষ নদীয়া থেকে কাটোয়ায় আসেন । বহু মানুষ কাটোয়া থেকে নদীয়া যান । কিন্তু ফেরি পারাপারের অনুমতি দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তা প্রশাসনের তরফ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় । ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ফেরিঘাট বন্ধের নোটিশ । এদিকে বাড়ি ফেরার পথে নদীয়াবাসীরা ফেরিঘাটে এসে ওই নোটিশ বোর্ড দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন । শুরু হয় বিক্ষোভ । যদিও খবর পেয়ে কাটোয়া থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় । তবে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের ফলে এদিন দুই জেলার বহু মানুষ সমস্যার মধ্যে পড়ে যান ৷
কাটোয়ায় ভাগিরথীতে ব্যাস্ততম ফেরিঘাটগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কাটোয়া- বল্লভপাড়া ফেরিঘাটটি । পূর্ব বর্ধমান ও নদীয়া জেলার মধ্যে সংযোগকারী হওয়ায় প্রতিদিন দুই জেলার হাজার হাজার মানুষ এই জলপথ দিয়ে যাতায়ত করেন । কিন্তু ভাগিরথীর জলস্তর বৃদ্ধি ও জলে কচুরি পানা ভেসে আসায় জলযাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে নৌকা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল প্রশাসন । এরপর প্রশাসনের অনুমতিক্রমে শনিবার ভোর থেকে ফেরি চলাচল শুরু হয় । দু’জেলার বহু মানুষ খেয়াপার করে । কিন্তু সকাল ৯ টা থেকে ফেরি চলাচল ফের বন্ধ করে দেওয়া হয় । ঝুলিয়ে দেওয়া হয় নোটিশ বোর্ড । এদিকে দুপুর নাগাদ বাড়ি ফেরার জন্য নদীয়া জেলার বহু মানুষ কাটোয়া- বল্লভপাড়া ফেরিঘাটে এসে জড়ো হন । কিন্তু ফেরিঘাটে টাঙানো নোটিশ দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন । তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে দেন নদীয়া জেলার লোকজন । ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ।
জানা গেছে,খবর পেয়ে কাটোয়া থানার পুলিশ আসে ফেরিঘাটে । পুলিশ সীমিত সংখ্যক যাত্রীদের নৌকায় পারাপারের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বললে বিক্ষোভকারীরা শান্ত হন । কিন্তু এদিকে ভিড়ের চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকে । পাশাপাশি শুরু হয় তুমুল বৃষ্টিপাত । ফলে পুলিশকে ওই পরিকল্পনা বাতিল করতে হয় । যদিও পুলিশের তৎপরতায় আর কোনও অশান্তি ছড়াতে পারেনি । এখন বাড়ি ফিরতে না পেরে চুড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন বহু সংখ্যক মানুষ ।।