প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৯ সেপ্টেম্বর : বাড়ির ছাদে পায়রা ও ঘুঘু পাখির ঘোরা ফেরা মেনে নিতে পারেন নি এক বাড়ি মালিক । তাই ছাদের গাছ পালার টবে বিষাক্ত কিছু দিয়ে রেখে নিরিহ পাখিদের প্রাণে মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো ওই বাড়ি মালিকের বিরুদ্ধে । এই ঘটনা নিয়ে বুধবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় শহর বর্ধমানের নীলপুর কমলাদিঘী পাড় এলাকায় । পাখিদের মৃত্যুর জন্য এলাকার বাসিন্দা নিরুপ কুমার দাসের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন প্রতিবেশী সান্তুনু দাস। পাখিদের প্রাণে মেরে দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে স্বোচ্চার হয়েছে বর্ধমানের একাধিক পশু পক্ষীপ্রেমী সংগঠন ।
নীলপুর কমলাদিঘী পাড় এলাকার বাসিন্দা শান্তনু দাস জানিয়েছেন, বহুদিন হল তিনি তাঁর বাড়ির ছাদে পাখিদের বসবাস করার ব্যবস্থা করে রেখেছেন । তাঁর মধ্যে তাঁর পোষা কয়েকটি পায়রাও রয়েছে । কিছু ঘুঘু পাখিও ওই বাসায় এসে থাকা শুরু করে । প্রতিদিন সকালে তিনি ওইসব পাখিগুলি ছেড়ে দেন। পাখিরা নিজেদের খুশি মতো উড়ে বেড়ায় । ।সান্তুনু বাবু জানান ,পাখি গুলি তাঁর বাড়ির ছাদে এবং তাঁর প্রতিবেশীদের বাড়ি ছাদে উড়ে গিয়ে বসতো । সেখানে খেলাও করতো ।অন্যরা তা নিয়ে ক্ষুব্ধ না হলেও আপত্তি ছিল তাঁর আত্মীয় তথা প্রতিবেশী নিরূপ কুমার দাসের। তিনি তাঁর বাড়ির ছাদে পাখিদের আনাগোনা মেনে নিতে পারেন নি। নিরূপ বাবু অভিযোগ তোলেন পাখিরা তাঁর বাড়ির ছাদ নোংরা করে। শান্তনু বাবু জানান ,গত রবিবার তিনি বাড়িতে ছিলেন না। পুলিশের পরীক্ষা দিতে বাইরে গিয়েছিলেন।ওইদিন তাঁর মা এবং পরিবারের সদস্যরা লক্ষ্য করেন পায়রাগুলো ভীষণভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরে বাড়ি ফিরে সান্তনু বাবু ৬টি পায়ারকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন ।বাকী পায়রাগুলির কোন খোঁজ তিনি পান না । শান্তনুবাবুর অভিযোগে ,বাড়ির ছাদে থাকা গাছের টবে নিশ্চই বিষ দিয়ে রেখেছিলেন তাঁর প্রতিবেশী নিরুপ রায় । তার কারণেই পায়রা গুলি মারা গিয়েছে । ঘটনার বিহিত চেয়ে ও প্রতিবেশীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির করে সান্তনু বাবু বর্ধমান থানার অভিযোগ জানিয়েছেন । বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী জানিয়েছেন ,’অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে । মৃত পায়রাগুলি উদ্ধার করে পশু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে