এইদিন ওয়েবডেস্ক,তিরুবনন্তপুরম,২৭ সেপ্টেম্বর : কেরালায় দীর্ঘ বাম ও কংগ্রেস শাসনকালে ‘ইসলামিক কট্টপন্থার’ বৃদ্ধি হচ্ছে বলে ইতিপূর্বে বহুবার বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে । যদিও সেই দাবি যথারীতি অস্বীকার করে আসা হয়েছে । এবার তথাকথিত জামাত-এ-ইসলামি হিন্দের(JIH) ‘মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক’ বিচারধারায় চিন্তা প্রকাশ করেছে খোদ সিপিআই(এম)-এর কেরালা ইউনিট । একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সম্প্রতি রাজ্য সিপিএমের তরফ থেকে ক্যাডারদের মধ্যে একটি দলীয় নথি বিলি করা হয় । আর সেই নথিতেই উল্লেখ রয়েছে এই আশঙ্কার কথা । নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জামাত-এ-ইসলামি হিন্দ সাম্প্রদায়িক চিন্তাভাবনা উসকে দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ৷ আর এই কাজে তারা সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি প্রকাশনাকেও (Publications) হাতিয়ার করছে । জামাতের লক্ষ্য ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করা । প্রসঙ্গত,২০১১ সালের জনগননা অনুযায়ী কেরালায় মুসলিম জনসংখ্যা ২৬ শতাংশ ।
সিপিএমের দলীয় নথিতে দাবি করা হয়েছে,শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যেই নয়,পাশাপাশি অন্য ধর্ম সম্প্রদায়ের মধ্যেও নিজেদের বিচারধারা প্রসারিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জামাত । সিপিএমের তরফ থেকে চিন্তা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘যখন মুসলিম সম্প্রদায়সহ গোটা বিশ্ব তালিবানের নিন্দা করছে ৷ সেই মুহুর্তে কেরালায় তালিবানকে সমর্থনের চিন্তাভাবনা চলছে । এটা গভীর চিন্তার বিষয় ।’ পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে,বিশেষ করে তারা রাজ্যের শিক্ষিত মহিলাদের নিজেদের মতাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে । সেই সঙ্গে নিজেদের সংগঠনের কর্মীদের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে । তবে যথারীতি জামাতের এই কট্টরপন্থী চিন্তাভাবনার জন্য আরএসএসকে দায়ি করেছে সিপিএম । দলীয় আভ্যন্তরীণ নথিতে তারা দাবি করেছে, ‘সংঘ পরিবারের ক্রিয়াকলাপের কারণেই সংখ্যালঘুদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক অনুভূতি বাড়ছে ।’
অন্যদিকে জামায়াতের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম ইঞ্জিনিয়ার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন । তিনি তালিবানপন্থী মনোভাব বাড়ানোর অভিযোগকে মিথ্যা প্রচার বলে দাবি করেছেন । তাঁর কথায়, ‘রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা বা রাজনৈতিক লাভের জন্যই জামাত-এ-ইসলামী হিন্দ সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে ।’।