প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৫ সেপ্টেম্বর : স্বামীকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হল স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক । ধৃতদের নাম মনুরা বিবি ও মাণিক মণ্ডল ।ধৃতদের মধ্যে মনুরার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার বেগপুর পঞ্চায়েত পাথরডাঙ্গায় । অপর ধৃত মাণিকের বাড়ি একই পঞ্চায়েতের কর্পুরডাঙ্গা গ্রামে । পুলিশের দাবি জেরায় ধৃতরা যুবক মুরসেদ শেখ (২৮) কে পরিকল্পনা করে খুনের কথা স্বীকার করেছে । শনিবার ধৃতদের পেশ করা হয় কালনা মহকুমা আদালতে। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী অফিসার ধৃতদের পুলিশি হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান । বিচারক ধৃতদের ৪ দিন পুলিশি হেপাজত মঞ্জুর করেছেন ।
নিহতের দাদা জাকির আলী শেখ জানিয়েছেন,তাঁর ভাই মুরসেদ শেখের স্ত্রীর মনুরা বিবি সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল পাশের গ্রামের বাসিন্দা মাণিক মণ্ডলের । ওদের ওই প্রেমের সম্পর্কে পথে কাঁটা হয়ে উঠেছিল মুরসেদ। সেই পথের কাঁটা সরাতে মানিক ও মনুরা পরিকল্পনা অাঁটে ।পরিকল্পনা মাফিক বুধবার সন্ধ্যার পরেই মানিক সহজপুর বাজারে থাকা তাঁর দোকান বন্ধ করেদেয় । এরপর মানিক তাঁর বাইকে মুরসেদকে চাপিয়ে নিয়ে উত্তর রামেশ্বরপুর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানেই মানিক ধারালো অস্ত্রদিয়ে মুরসেদ কে কোপানোর পর তার মুখ কাদায় গুঁজে দেয় ।তারপর নিজেকে নির্দেষ সাজাতে মানিক একই জায়গায় আক্রান্ত হওয়ার ভান করে পড়ে থাকে ।রামেশ্বরপুর এলাকার লোকজন তাঁদের রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে কাছে যান ।মানিক তাদের মিথ্যাকরে বলে, দুস্কৃতিরা তাঁদের দু’জনের উপরে হামলা চালিয়ে পালিয়েছে ।এমনটা শুনেই এলাকার লোকজন কালনা থানায় খবর দেয় ।পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে দু’জনকে উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় ।সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুরসেদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । এরপরেই মুরসেদের পরিবার কালনা থানায় মুরসেদকে খুনের অভিযোগ দায়ের করে ।
কালনার এসডিপিও সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বলেন,“ মাণিক মণ্ডল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই মুরসেদ শেখকে খুনের ঘটনা নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।সে তাঁর অপরাধ স্বীকার করা হয় ।জেরায় সে মনুরার সঙ্গে পরিকল্পনা করে মুরসেদকে খুন করার কথা স্বীকার করে। এরপরেই ওই দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয় ।।