প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৪ সেপ্টেম্বর :রোগিনীর শ্লীলতাহানী করার অভিযোগে বেসরকারী নার্সিংহোমের এক ওয়ার্ডবয়কে গণধোলাই দিল রোগিনীর পরিজনরা । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বেলায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে শহর বর্ধমানের বোরহাট এলাকায় । খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয় । রোগিনীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত ওয়ার্ডবয় বাপ্পা সরকারকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে । এই বিষয়ে নার্সিংহোম মালিক অনিমেষ সরকার বলেন , ‘তাঁদের নার্সিংহোমের ফিমেল ওয়ার্ডে ৪ জন মহিলা স্টাফ থাকে । তার পরেও এমন ঘটনা কি করে ঘটতে পারে তার কিছুই তিনি বুঝে উঠতে পারছি না ।’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের এক তরুণীকে তাঁর পরিবারের লোকজন গত বুধবার বর্ধমানের বোরহাটের নার্সিংহোমে ভর্তি করে । কিন্তু শারিরীক সমস্যআ থাকা সত্ত্বেও পরের দিনেই সে হাসপাতাল থেকে ছুটি নেওয়ার জন্য জোরাজুরি করে । ডাক্তার ছুটি দিতে না চাইলেও ওই তরুণী কার্যত জোর করে ছুটি নিতে চান । কেন তিনি জোর ছুটি নিতে চাইছিলেন তখন কারও কাছেই স্পষ্ট ছিল না । ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরতেই তরুণী তাঁর সঙ্গে ঘটা সমস্ত ঘটনা বাড়ির সদস্যদের বলেন । তখনই প্রকাশ্যে আসে আসল ঘটনা ৷
বাসুদেব ঘোষ নামে তরুনীর এক আত্মীয়ের কথায়,
‘মেয়েটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন বুধবার রাতে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে ওয়ার্ডবয় বাপ্পা সরকার । এমনকি সে নোংরামি করার জন্য তরুণীকে জেনারেল ওয়ার্ড থেকে কেবিনে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করে । এইসবের কারণে অসুস্থ তরুনী ভয়ে বৃহস্পতিবার চিকিৎসকের অমতেই ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে আসতে বাধ্য হয় ।’
জানা গেছে,মেয়েটির মুখ থেকে সবকিছু শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন পরিবারের লোকজন । এদিন পরিবারের সদস্যরা এলাকার কিছু বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে বোরহটের ওই নার্সিংহোমে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখান । তাঁরা অভিযুক্ত ওয়ার্ডবয় বাপ্পা সরকারকে ধরে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করেন । কিন্তু সে সদুত্তর দিতে না পারায় সেখানেই তাঁকে গণধোলাই দেওয়া হয়। পরে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত ওই যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যায় । পরে পরিবারের তরফ থেকে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে অসুস্থ তরুনীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে এফআইআর রজু করা হলে তার ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে আটক করে । পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ