এইদিন ওয়েবডেস্ক,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),২২ সেপ্টেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা চঞ্চল বক্সি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ধৃত দুই সুপারিকিলাকে সঙ্গে নিয়ে বুধবার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ। ধৃত দুই সুপারিকিলার শেখ শের আলি ও মহম্মদ ইমরান কুরেশিকে সঙ্গে নিয়ে আউশগ্রাম থানার পুলিশ প্রথমে গেরাই ভাতকুন্ডা রোডে একটি সেতুর কাছে আসে।সেতুর কাছে রয়েছে একটি হোটেল ও একটি গুমটি দোকান। পুলিশকে ধৃতরা জানায় সেদিন হোটেল থেকে চা পান করে।গুমটি থেকে সিগারেট কেনে। তারপর অপেক্ষা করতে থাকে। চঞ্চল বক্সি গেরাই থেকে বাবাকে নিয়ে বাইকে চড়ে আসতেই তার পিছু নিয়ে গুলি চালায় শের আলি। কিভাবে চঞ্চল বক্সিকে গুলি করে এবং খুনের পর এলাকা ছেড়ে চলে যায় তা দুজনে পুলিশকে দেখায়।
পুলিশ জানতে পারে সেদিন ধৃত আয়ুব খান গেরাই থেকেই চঞ্চল বক্সিকে অনুসরণ করে এসে ছিল। সেতুর কাছেই শের আলিদের সঙ্গে মিলিত হয়। তারপরেই চঞ্চলকে প্রথম গুলিটি চালায় আয়ূব। তারপর শের আলি পরপর তিনটি গুলি করে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর গেরাই গ্রামে দলীয় এক কর্মীর বাড়িতে অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফেরার পথে খুন হন দেবশালা অঞ্চল যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি চঞ্চল বক্সি।খুনের ঘটনার ৬ দিনের মধ্যেই পুলিশ খুনের তৃণমূলের যুবনেতা তথা গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য আসানুল মণ্ডল সহ তিনজন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে। তারপর আয়ূব খান নামে আরও এক তৃণমূল কর্মীকে ধরা হয়।ধৃত ওই চারজনকে জেরা করে চার পেশাদার দুস্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে রয়েছে দুই সুপারিকিলার বীরভূমের বাসিন্দা শেখ শের আলি ও দুর্গাপুরের বাসিন্দা মহম্মদ ইমরান কুরেশি।এই দুজনকে নিয়েই মামলার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ।
কোথায়, কিভাবে গুলি চালায়, গুলি করার পর নিজের জামা শের আলি কোথায় খুলে ফেলে এবং কোন দিকে তারা বাইক নিয়ে পালিয়ে যায় এসব এদিন বিস্তারিত পুলিশকে জানায় দুই সুপারিকিলার ।।