এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,১৯সেপ্টেম্বর : বাড়ির মধ্যেই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় কিশোরীর । তাকে কবরস্থও করা হয় । কিন্তু ঘটনার দশ দিন পর কিশোরীর মা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন । ওই মহিলা সন্দেহ প্রকাশ করেন তাঁর শ্বশুর,শাশুড়ি ও দেবর মিলে খুন করেছে মেয়েকে । মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মিলনগড় কোচপুকুর গ্রামের বাসিন্দা তাজকেরা খাতুন নামে ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার তাঁর মেয়ে ডলি খাতুনের মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ ।
জানা গিয়েছে,ঘটনাটি ঘটে গত ১০ সেপ্টেম্বর । ওই দিন সকালে প্রতিদিনের মত মাঠে কাজে গিয়েছিলেন তাজকেরা বিবি ও তাঁর স্বামী সাহাবুদ্দিন শেখ । বাড়িতে একাই ছিল তাঁদের বড় মেয়ে ডলি খাতুন ৷ মাঠে যাওয়ার ঘন্টাখানেক বাদে তাজকেরা বিবিদের ফোন করে জানানো হয় যে ডলি মারা গিয়েছে। তাজকেরার বলেন ,’আমার মেয়ে পুরোপুরি সুস্থই ছিল। বাড়িতে ফিরে দেখি মেয়ে খাটে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে । আমাদের বলা হয় মেয়ে নাকি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ৷ তারপরেই পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি মেয়েকে কবরস্থ করে দেয় । মেয়ের মৃত্যু নিয়ে আমার সন্দেহ হয়েছিল । কিন্তু পরিবারের হুমকির কারনে এতদিন মুখ বুজে ছিলাম । তারপর গত শুক্রবার বড় মেয়ের মতো তাকে ও ছোট মেয়েকে খুন করা হবে বলে দেওর হুমকি দিলে তখন আমি নিশ্চিত হই আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে । শেষে পুলিশের দ্বারস্থ হই ।’
জানা গেছে, তাজকেরা খাতুন মেয়েকে খুনের অভিযোগ তুলে তাঁর শ্বশুর মাহতাব আলি, শাশুড়ি উজলেফা বিবি ও দেওর তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । তিনি তাতে আশঙ্কা প্রকাশ করেন জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের কারণে তাঁর বড় মেয়েকে খুন করা হয়েছে । তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ম্যাজিস্ট্রেট ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসির উপস্থিতিতে এদিন মৃত কিশোরীর মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ।।