ভারত ভক্তি স্তোত্র, একাত্মতা স্তোত্র, ভারত একাত্মতা স্তোত্র কিংবা অখণ্ড ভারত স্তোত্র নামে পরিচিত এই স্তোত্রটিতে মোট ৩৩টি শ্লোক আছে। স্তোত্রটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত। এর মধ্যে প্রথম থেকে ৩১টি শ্লোক এবং ৩৩তম শ্লোকটি অনুষ্টুপ ছন্দে রচিত। ৩২ তম শ্লোকটি শিখরিণী ছন্দে রচিত। সনাতন হিন্দু রাষ্ট্র বা ভারতবর্ষের একতা বা একাত্মতার আধার হল ভারতবর্ষের সনাতন সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতিকে অনাদি কাল থেকে ধরে রেখেছে এই দেশের পর্বত, নদী, বিভিন্ন তীর্থস্থান, জ্ঞাননিধি, শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষগণ।এই স্তোত্রটিতে ভারতবর্ষের সেই চিরন্তন সংস্কৃতির ধারক ও বাহকদের নাম স্মরণ করা হয়েছে। বহু রাষ্ট্র বোধ সম্পন্ন সংগঠন এবং রাষ্ট্রপ্রেমিক ব্যক্তিবর্গ নিত্য সকালবেলায় এই স্তোত্র পাঠ করেন। সেজন্য এটিকে প্রাতঃস্মরণ বা স্তোত্রম্ নামেও বলা হয়ে থাকে।
একাত্মতা স্তোত্রম্
ওঁ সচ্চিদানন্দরূপায় নমোঽস্তু পরমাত্মনে।
জ্যোতির্ময়স্বরূপায় বিশ্বমাঙ্গল্যমূর্তয়ে॥১॥
প্রকৃতিঃ পঞ্চ ভূতানি গ্রহা লোকাঃ স্বরাস্তথা।
দিশঃ কালশ্চ সর্বেষাং সদা কুর্বন্তু মঙ্গলম্॥২॥
রত্নাকরাধৌতপদাং হিমালয়কিরীটিনীম্।
ব্রহ্মরাজর্ষিরত্নাঢ্যাং বন্দে ভারতমাতরম্॥৩॥
মহেন্দ্রো মলয়ঃ সহ্যো দেবতাত্মা হিমালয়ঃ।
ধ্যেয়ো রৈবতকো বিন্ধ্যো গিরিশ্চারাবলিস্তথা॥৪॥
গঙ্গা সরস্বতী সিন্ধুর্ব্রহ্মপুত্রশ্চ গণ্ডকী।
কাবেরী যমুনা রেবা কৃষ্ণা গোদা মহানদী॥৫॥
অযোধ্যা মথুরা মায়া কাশী কাঞ্চী হ্যবন্তিকা।
বৈশালী দ্বারিকা ধ্যেয়া পুরী তক্ষশিলা গয়া॥৬॥
প্রয়াগঃ পাটলীপুত্রং বিজয়ানগরং মহৎ।
ইন্দ্রপ্রস্থং সোমনাথস্ তথাঽমৃতসরঃ প্রিয়ম্॥৭॥
চতুর্বেদাঃ পুরাণানি সর্বোপনিষদস্তথা।
রামায়ণং ভারতং চ গীতা সদ্দর্শনানি চ॥৮॥
জৈনাগমাস্ত্রিপিটকা গুরুগ্রন্থঃ সতাং গিরঃ।
এষ জ্ঞাননিধিঃ শ্রেষ্ঠঃ শ্রদ্ধেয়ো হৃদি সর্বদা॥৯॥
অরুন্ধত্যনসূয়া চ সাবিত্রী জানকী সতী।
দ্রৌপদী কণ্ণগী গার্গী মীরা দুর্গাবতী তথা॥১০॥
লক্ষ্মীরহল্যা চন্নম্মা রুদ্রমাম্বা সুবিক্রমা।
নিবেদিতা সারদা চ প্রণম্যা মাতৃদেবতাঃ॥১১॥
শ্রীরামো ভরতঃ কৃষ্ণো ভীষ্মো ধর্মস্তথার্জুনঃ।
মার্কণ্ডেয়ো হরিশ্চন্দ্রঃ প্রহ্লাদো নারদো ধ্রুবঃ॥১২॥
হনুমান্ জনকো ব্যাসো বশিষ্ঠশ্চ শুকো বলিঃ।
দধীচিবিশ্বকর্মাণৌ পৃথুবাল্মীকিভার্গবাঃ॥১৩॥
ভগীরথশ্চৈকলব্যো মনুর্ধন্বন্তরিস্তথা।
শিবিশ্চ রন্তিদেবশ্চ পুরাণোদ্গীতকীর্তয়ঃ॥১৪॥
বুদ্ধা জিনেন্দ্রা গোরক্ষঃ পাণিনিশ্চ পতঞ্জলিঃ।
শঙ্করো মধ্বনিম্বার্কৌ শ্রীরামানুজবল্লভৌ॥১৫॥
ঝূলেলালোঽথ চৈতন্যস্ তিরুবল্লুবরস্তথা।
নায়ম্মারালবারাশ্চ কম্বশ্চ বসবেশ্বরঃ॥১৬॥
দেবলো রবিদাসশ্চ কবীরো গুরুনানকঃ।
নরসিস্তুলসীদাসো দশমেশো দৃঢ়ব্রতঃ॥১৭॥
শ্রীমচ্ছঙ্করদেবশ্চ বন্ধূ সায়ণমাধবৌ।
জ্ঞানেশ্বরস্তুকারামো রামদাসঃ পুরন্দরঃ॥১৮॥
বিরসা সহজানন্দো রামানন্দস্তথা মহান্।
বিতরন্তু সদৈবৈতে দৈবীং সদ্গুণসম্পদম্॥১৯॥
ভরতর্ষিঃ কালিদাসঃ শ্রীভোজো জকণস্তথা।
সূরদাসস্ত্যাগরাজো রসখানশ্চ সৎকবিঃ॥২০॥
রবিবর্মা ভাতখণ্ডে ভাগ্যচন্দ্রঃ স ভূপতিঃ।
কলাবন্তশ্চ বিখ্যাতাঃ স্মরণীয়া নিরন্তরম্॥২১॥
অগস্ত্যঃ কম্বুকৌণ্ডিন্যৌ রাজেন্দ্রশ্চোলবংশজঃ।
অশোকঃ পুষ্যমিত্রশ্চ খারবেলঃ সুনীতিমান্॥২২॥
চাণক্য-চন্দ্রগুপ্তৌ চ বিক্রমঃ শালিবাহনঃ।
সমুদ্রগুপ্তঃ শ্রীহর্ষঃ শৈলেন্দ্রো বপ্পরাবলঃ॥২৩॥
লাচিদ্ ভাস্করবর্মা চ যশোধর্মা চ হূণজিৎ।
শ্রীকৃষ্ণদেবরায়শ্চ ললিতাদিত্য উদ্বলঃ॥২৪॥
মুসুনূরিনায়কৌ তৌ প্রতাপঃ শিবভূপতিঃ।
রণজিৎসিংহ ইত্যেতে বীরা বিখ্যাতবিক্রমাঃ॥২৫॥
বৈজ্ঞানিকাশ্চ কপিলঃ কণাদঃ সুশ্রুতস্তথা।
চরকো ভাস্করাচার্যো বরাহমিহিরঃ সুধীঃ॥২৬॥
নাগার্জুনো ভরদ্বাজ আর্যভট্টো বসুর্বুধঃ।
ধ্যেয়ো বেঙ্কটরামশ্চ বিজ্ঞা রামানুজাদয়ঃ॥২৭॥
রামকৃষ্ণো দয়ানন্দো রবীন্দ্রো রামমোহনঃ।
রামতীর্থোঽরবিন্দশ্চ বিবেকানন্দ উদ্যশাঃ॥২৮॥
দাদাভাঈ গোপবন্ধুস্তিলকো গান্ধিরাদৃতাঃ।
রমণো মালবীয়শ্চ শ্রীসুব্রহ্মণ্যভারতী॥২৯॥
সুভাষঃ প্রণবানন্দঃ ক্রান্তিবীরো বিনায়কঃ।
ঠক্করো ভীমরাবশ্চ ফুলে নারায়ণো গুরুঃ॥৩০॥
সঙ্ঘশক্তিপ্রণেতারৌ কেশবো মাধবস্তথা।
স্মরণীয়াঃ সদৈবেতে নবচৈতন্যদায়কাঃ॥৩১॥
অনুক্তা যে ভক্তাঃ প্রভুচরণসংসক্তহৃদয়া
অনির্দিষ্টা বীরা অধিসমরম্ উদ্ধ্বস্তরিপবঃ
সমাজোদ্ধর্তারঃ সুহিতকরবিজ্ঞাননিপুণা
নমস্তেভ্যো ভূয়াৎ সকলসুজনেভ্যঃ প্রতিদিনম্॥৩২॥
ইদম্ একাত্মতাস্তোত্রং শ্রদ্ধয়া যঃ সদা পঠেৎ।
স রাষ্ট্রধর্মনিষ্ঠাবান্ অখণ্ডং ভারতং স্মরেৎ॥৩৩॥
স্তোত্রে বর্ণিত বিষয়াবলী
প্রথম শ্লোক – পরমেশ্বর
প্রথম শ্লোকে পরমেশ্বরের স্তুতি করা হয়েছে। সেই পরমেশ্বরকে সনাতন শাস্ত্রে সচ্চিদানন্দ বলা হয়েছে। সনাতন ধর্মকে অবলম্বন করে বিকশিত সমস্ত আধ্যাত্মিক পন্থেই পরমেশ্বরের এই সচ্চিদানন্দ স্বরূপটিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন পন্থে পরমেশ্বরের নাম ও রূপের বিভিন্নতা থাকলেও তাঁর সচ্চিদানন্দ, জ্যোতির্ময় স্বরূপটি সকলেরই স্বীকৃত। তাঁকে সকলেই বিশ্বের মঙ্গলকর্তা বলে স্বীকার করেছেন। পরমেশ্বরের এই সর্বস্বীকৃত রূপটিই এই শ্লোকে বর্ণিত।
দ্বিতীয় শ্লোক – প্রকৃতি প্রভৃতি
দ্বিতীয় শ্লোকে যথাক্রমে প্রকৃতি, পঞ্চ মহাভূত (পৃথিবী, জল, অগ্নি, বায়ু এবং আকাশ), নব গ্রহ, চতুর্দশ ভুবন (ভূলোক, ভুবর্লোক, স্বর্লোক, মহর্লোক, জনলোক, তপোলোক, সত্যলোক, অতল, বিতল, সুতল, তলাতল, মহাতল, রসাতল, পাতাল), সপ্ত স্বর (ষড্জ, ঋষভ, গান্ধার, মধ্যম, পঞ্চম, ধৈবত, নিষাদ – সারেগামাপাধানি) অথবা তিন স্বর (উদাত্ত, অনুদাত্ত, স্বরিত) অথবা দ্বাদশ স্বর (অ থেকে ঔ পর্যন্ত), দশ দিক (পূর্ব, দক্ষিণ, পশ্চিম, উত্তর, ঈশান, অগ্নি, নৈর্ঋত, বায়ু, ঊর্ধ্ব, অধঃ), কালের উল্লেখ করা হয়েছে এবং তাদের উদ্দেশে প্রার্থনা করা হয়েছে যাতে তাঁরা সকলের মঙ্গল করেন।
তৃতীয় শ্লোক – ভারতমাতা
ভারতমাতার বর্ণনা। এখানে ভারতবর্ষের বর্ণনা রয়েছে। ভারত মায়ের চরণ ধুয়ে দেয় রত্নাকর অর্থাৎ সাগর। তাঁর মস্তকে কিরীট (মুকুট) রূপে শোভা পায় হিমালয়। ব্রহ্মর্ষি, রাজর্ষি রূপী নানা রত্নে ভারতমাতা বিভূষিতা। সেই ভারতমাতাকে আমি বন্দনা করি।
চতুর্থ শ্লোক – পর্বত
ভারতের প্রধান সাতটি পর্বতশ্রেণীর বর্ণনা। মহেন্দ্র, মলয়, সহ্যাদ্রি, হিমালয়, রৈবতক, বিন্ধ্য এবং আরাবলী।
পঞ্চম শ্লোক – নদী
ভারতের প্রমুখ ১১টি নদীর নাম। গঙ্গা, সরস্বতী, সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র, গণ্ডকী, কাবেরী, যমুনা, নর্মদা, কৃষ্ণা, গোদাবরী, মহানদী।
ষষ্ঠ শ্লোক – তীর্থক্ষেত্র
ভারতের প্রমুখ ১১টি পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। অযোধ্যা, মথুরা, হরিদ্বার, কাশী, কাঞ্চী, অবন্তী (উজ্জয়িনী), বৈশালী, দ্বারকা, পুরী, তক্ষশিলা, গয়া।
সপ্তম শ্লোক – সমৃদ্ধ নগরী
ভারতের ক্ষাত্রশক্তির প্রতীক সমৃদ্ধ নগরসমূহ। প্রয়াগ, পাটলীপুত্র (পাটনা), বিজয়নগর, ইন্দ্রপ্রস্থ (দিল্লী), সোমনাথ, অমৃতসর।
অষ্টম ও নবম শ্লোক – জ্ঞাননিধি
ভারতের সনাতন জ্ঞানের আধার গ্রন্থসমূহ। চতুর্বেদ, পুরাণ, উপনিষদ, রামায়ণ, মহাভারত, গীতা এবং সৎদর্শন (সাংখ্য, যোগ, ন্যায়, বৈশেষিক, পূর্বমীমাংসা, উত্তরমীমাংসা বা বেদান্ত), জৈনাগম, ত্রিপিটক, গুরুগ্রন্থ সাহেব, অন্যান্য সাধকদের বাণী। এইগুলি হল জ্ঞাননিধি। এদেরকে শ্রদ্ধাপূর্ণ হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।
দশম ও একাদশ শ্লোক – প্রণম্য মাতৃদেবতাগণ
অরুন্ধতী (ঋষি বসিষ্ঠের পত্নী), অনসূয়া (অত্রি মুনির পত্নী), সাবিত্রী, সীতা, সতী, দ্রৌপদী, কণ্ণগী, গার্গী, মীরাবাঈ, দুর্গাবতী, লক্ষ্মীবাঈ, অহল্যাবাঈ হোলকর, চন্নম্মা, রুদ্রমাম্বা, ভগিনী নিবেদিতা, সারদা দেবী – এঁরা সর্বকালে সকলের প্রণম্য মাতৃদেবতা।
দ্বাদশ, ত্রয়োদশ, চতুর্দশ শ্লোক – পুরাণে যাঁদের কীর্তি বর্ণিত
পুরাণোদ্গীতকীর্তিগণ হলেন – শ্রীরামচন্দ্র, ভরত, কৃৃষ্ণ, ভীষ্ম, যুধিষ্ঠির, অর্জুন, মার্কণ্ডেয়, হরিশ্চন্দ্র, প্রহ্লাদ, নারদ, ধ্রুব, হনুমান্, জনক, ব্যাস বশিষ্ঠ, শুকদেব, মহারাজ বলি, দধীচি, বিশ্বকর্মা, মহারাজ পৃথু, বাল্মীকি, পরশুরাম (ভার্গব), ভগীরথ, একলব্য, মনু, ধন্বন্তরি, শিবি, রন্তিদেব।
পঞ্চদশ, ষোড়শ, সপ্তদশ, অষ্টাদশ, নবদশ শ্লোক – যাঁরা সদুপদেশের দ্বারা সমাজে সৎগুণের বিকাশ ঘটিয়েছেন
বুদ্ধগণ, জিনেন্দ্রগণ, গোরক্ষনাথ, পাণিনি, পতঞ্জলি, শঙ্করাচার্য, মধ্বাচার্য, নিম্বার্কাচার্য, শ্রীরামানুজাচার্য, বল্লভাচার্য, ঝূলেলাল, শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য, তিরুবল্লুবর, নায়ম্মারগণ (দাক্ষিণাত্যের শৈবভক্ত), আল্বার (বিশিষ্টাদ্বৈত সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ভক্তবৃন্দ), কম্ব, বসবেশ্বর, দেবল, রবিদাস, কবীর, গুরু নানক, নরসি মেহতা, তুলসীদাস, গুরু গোবিন্দ সিংহ, শঙ্করদেব, সায়ণাচার্য, মাধবাচার্য, জ্ঞানেশ্বর, তুকারাম, রামদাস, পুরন্দরদাস, বিরসা মুণ্ডা, সহজানন্দ (স্বামিনারায়ণ), স্বামী রামানন্দ।
বিংশ ও একবিংশ শ্লোক (২১-২১) – কলাক্ষেত্রে প্রবীণ
নাট্যাচার্য ভরত ঋষি, কালিদাস, শ্রীভোজ, জকণ, সূরদাস, ত্যাগরাজ, রসখান, রবিবর্মা, ভাতখণ্ডে, ভাগ্যচন্দ্র (মণিপুরের রাসলীলার প্রবর্তক)।
দ্বাবিংশ থেকে পঞ্চবিংশ শ্লোক (২২-২৫) – শূরবীর
অগস্ত্য, কম্বু, কৌণ্ডিন্য, রাজেন্দ্র চোল, অশোক, পুষ্যমিত্র, খারবেল, চাণক্য, চন্দ্রগুপ্ত, বিক্রমাদিত্য, শালিবাহন, সমুদ্রগুপ্ত, শ্রীহর্ষবর্ধন, শৈলেন্দ্র, বপ্পরাওল, লাচিৎ বড়ফুকান, ভাস্করবর্মা, হূণ বিজেতা যশোধর্মা, শ্রীকৃষ্ণদেবরায়, ললিতাদিত্য, মুসুনূরিনায়ক ও প্রোলয়নায়ক, রানা প্রতাপ, শিবাজী, মহারাজ রণজিৎ সিংহ।
ষড্বিংশ ও সপ্তবিংশ শ্লোক (২৬-২৭) – বৈজ্ঞানিক
কপিল, কণাদ, সুশ্রুত, চরক, ভাস্করাচার্য, বরাহমিহির, নাগার্জুন, ভরদ্বাজ, আর্যভট্ট, জগদীশচন্দ্র বসু, বেঙ্কটরমণ, রামানুজন্।
অষ্টাবিংশ থেকে একত্রিংশ শ্লোক (২৮-৩১) – নবজাগরণের পথিকৃৎ
রামকৃষ্ণ পরমহংস, স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাজা রামমোহন রায়, স্বামী রামতীর্থ, ঋষি অরবিন্দ, স্বামী বিবেকানন্দ, দাদাভাঈ নওরজী, গোপবন্ধু দাস, বাল গঙ্গাধর তিলক, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, মহর্ষি রমণ, পণ্ডিত মদনমোহন মালবীয়, শ্রীসুব্রহ্মণ্যভারতী, সুভাষচন্দ্র বসু, স্বামী প্রণবানন্দ, ক্রান্তিবীরো বিনায়ক দামোদর সাভারকর, ঠক্কর বাপা, ভীমরাও আম্বেডকর, মহাত্মা জ্যোতিবা ফুলে, নারায়ণ গুরু, ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার, শ্রী মাধব সদাশিব গোলওয়ালকর।
দ্বাত্রিংশ শ্লোক (৩২) – অজ্ঞাত, অখ্যাত, অনুল্লিখিত মনীষী
যে সমস্ত ভক্তবৃন্দ অনুল্লিখিত থাকলেন, যে সমস্ত বীরগণ অনির্দিষ্ট রয়ে গেলেন, যাঁরা সমাজের সমুন্নতির জন্য হিতকর জ্ঞান ও বিজ্ঞানের চর্চায় নিরত সেই সমস্ত সজ্জনদের নমস্কার।
ত্রয়স্ত্রিংশ শ্লোক (৩৩) – ফলশ্রুতি
যে ব্যক্তি নিত্য এই স্তোত্র পাঠ করে সে রাষ্ট্র ও ধর্মের প্রতি নিষ্ঠা লাভ করে এবং অখণ্ড ভারতকে স্মরণ করে।

