এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,৩০ ডিসেম্বর : আজ মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় বড়জোড়ার বীরসিংহপুর ময়দানে বছরের শেষ জনসভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি । তার বক্তব্যের সিংহভাগই ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ ও এসআরআর এর বিরোধিতা । তবে প্রথমদিকে তিনি নিজের সরকারের “উন্নয়নের পাঁচালী”র ফিরিস্তি দেন । কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের টাকা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে মমতা এক সময়ে বলেন,”আমরা ৫২ কুইন্টাল চাল কিনে রেশনের মাধ্যমে দিই ৷ আগে দিত আধভাঙ্গা চাল পাথর মিশিয়ে ।” যদিও মুখ্যমন্ত্রী যেকোনো কারনে এই পরিসংখ্যান মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন । তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মনে করছেন যে মুখ্যমন্ত্রী “উনি আর চাপ নিতে পারছেন না” ।
আসলে,রাজ্য সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি দেবার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”আমরা প্রায় ৫২ কুইন্টাল চাল কিনি । আর সেই চাল রেশনের মাধ্যমে আপনাদের দিই ৷” মুখ্যমন্ত্রী ৫২ কুইন্টাল চাল কিভাবে রাজ্যের ৯-১০ কোটি মানুষের মধ্যে বিতরণ করেন তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী । তিনি অঙ্ক কষে জানান,৫২ কুইন্টাল চাল কিনে মাননীয়া রেশন বন্টন করছেন পশ্চিমবঙ্গে !!! এক কুইন্টাল (Quintal) = ১০০ কেজি (কিলোগ্রাম) অর্থাৎ রাজ্যের ৯-১০ কোটি মানুষ কে ৫২০০ কেজি চাল বিতরণ করছেন !!!’
এরপর তিনি কটাক্ষ করেছেন,’মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য পরিচালনার জন্য মানসিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়েছেন। মুখ ফসকে ভুল বলে ফেলা এক ব্যপার, আর প্রতিনিয়ত মঞ্চে ভুল ভাল বক্তব্য রাখা, মাথামুণ্ডহীন কথাবার্তা বলে লোক হাসানো থেকেই বোঝা যায় যে উনি আর চাপ নিতে পারছেন না ।তবে ওনাকে চিন্তা করতে হবে না, বাংলার জনগণ শিগগিরই ওনাকে ছুটিতে পাঠাবার আয়োজন করছে। আর তিন চার মাস…।’
আজ বড়জোড়ার বীরসিংহপুর ময়দানের জনসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে “মিস্টার দুঃশাসন মিনিস্টার”, “মিস্টার দুরাচারী মিনিস্টার”,”মিস্টার ব্যাভিচারী মিনিস্টার”, “মিস্টার দানবের সরকার” প্রভৃতি বলে আক্রমণ করেন । মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা একশ দিনের টাকা দেননি,’আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছেন । আমরা খারাপ হলে আপনাকে বাংলা থেকে বেরুতে দিতাম না ।’ পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন,’এবার বাংলা আপনাকে দেবে ঘেঁচু । যান ডিকেশনারি দেখে ঘেঁচু কথার মানে খুঁজুন । এটা গ্রাম বাংলার প্রচলিত কথা৷’।

