এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,২৯ ডিসেম্বর :আজ পাকিস্তানের দুই পৃথক স্থানে হত্যালীলা চালিয়েছে বিদ্রোহীরা । পাকিস্তানের উত্তর- পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে বাজাউর জেলার খার এলাকায় একটি গোয়েন্দা ভিত্তিক অভিযানের সময় পাকিস্তান সেনার মেজর আদিল জামান (৩৬ বছর) ফিতনা আল খোয়ারিজ বিদ্রোহীদের গুলিতে মারা গেছেন । তিনি ডেরা ইসমাইল খান জেলার বাসিন্দা । বেলুচিস্তানের আওরানে বেলুচ লিবারেশন আর্মি যোদ্ধাদের হাতে মারা গেছেন পাকিস্তান সেনার লেফটেন্যান্ট কর্নেল শের আলম । পাশাপাশি একই দিনে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সোমবার পৃথক ঘটনায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন । তবে এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো সংগঠন দায় স্বীকার না করলেন সন্দেহ তেহরিক-ই- তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর দিকে ।
জানা গেছে,আজ ফিতনা আল খোয়ারিজ যোদ্ধাদের উপস্থিতির খবর পেয়ে, নিরাপত্তা বাহিনী বাজাউর জেলার খার এলাকায় একটি গোয়েন্দা ভিত্তিক অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন মেজর আদিল জামান । দু’পক্ষের মধ্যে প্রবল গোলাগুলি চলার সময় আদিল জামানের শরীরে একাধিক গুলি লাগে এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় । পাকিস্তান সেনার দাবি,এই অভিযানে ৫ জন যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে এবং প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদও উদ্ধার করা হয়েছে । বর্তমানে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের সীমান্তবর্তী ট্যাঙ্ক জেলার মৃত দুই পুলিশ সদস্য হলেন সহকারী উপ-পরিচালক মুমতাজ আলী ও কনস্টেবল সাজ্জাদ হোসেন । প্রথম ঘটনায় জানা গেছে, মারওয়াত জেলার নিজের গ্রাম থেকে সহকারী উপ-পরিচালক মুমতাজ আলী যখন ফিরছিলেন, সেই সময় বাইকে করে আসা অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা তাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই ওই কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। দ্বিতীয় ঘটনায়, কনস্টেবল সাজ্জাদ হোসেন, যিনি ডিউটির পর বাড়ি ফেরার পথে শাহ আলম রোডে আটকানো হয় এবং জোর করে তার গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে হত্যা করা হয়। দুটি ঘটনাতেই অপরাধীদের ধরতে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে এবং আরও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত,পাকিস্তান সরকার দ্বারা নিষিদ্ধ সংগঠন তেহরিক-ই- তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) কে ২০২২ সালের নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি শেষ হওয়ার পর থেকে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর জন্য অভিযুক্ত করেছে ইসলামাবাদ । বিশেষ করে আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলিতে হামলার ঘটনা বেড়েছে ।।

