এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০২ ডিসেম্বর ঃ করোনার দেশীয় টিকা কো-ভ্যাকিসিনের অন্তিম পর্যায়ের ট্রায়ালের উদ্বোধন করলের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর । কলকাতায় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালস্থিত কেন্দ্রীয় সরকারি চিকিৎসা গবেষনা প্রতিষ্ঠান নাইসেডে এই টিকার ট্রায়ালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল বুধবার । ভারত বায়োটেক, আইসিএমআর ও এন আইডি পুনের যৌথ প্রচেষ্ঠায় তৈরি এই কো-ভ্যাকিসিনের দুটি ডোজের ট্রায়াল হবে ৷ যার প্রথমটি এদিন নিলের রাজ্যের পুর ও নগরউন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম । ২৮ দিন পর তাঁকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে ।
এদিন ট্র্যায়ালের উদ্বোধনে এসে স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল । যদিও তাঁর বয়স ও অনান্য বিষয়ের কারনে বুঝে পা ফেলতে চাইছে নাইসেড কর্তৃপক্ষ ।
এদিন কো-ভ্যাকসিনের অন্তিম পর্যায়ের ট্রায়ালের উদ্বোধনে এসে করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানিয়ে রাজ্যপাল বলেন, ‘আমাদের করোনা যোদ্ধাদের প্রতি আমি সহানুভুতি প্রকাশ করছি । আমাদের ডাক্তার, নার্স, প্যারামেডিক্যাল স্টাফ, পুলিশকর্মীরা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজেদের জীবন বিপন্ন করছেন । আমাদের জন্য মৃত্যু বরন করছেন । ওনাদের প্রতি আমাদের সহানুভুতি প্রকাশ করছি।’ রাজ্যপাল বলেন, “বিশ্বজুড়ে করোনার বিরাট প্রভাব পড়েছে। আমরা সামাল দিতে পেরেছি। করোনা মোকাবিলায় যথেষ্ট সাহায্য করেছে আয়ূষমান ভারত”।
পাশাপাশি করোনা মোকাবিলার সরঞ্জাম দুর্নীতি নিয়ে সরব হন রাজ্যপাল । এদিন তিনি জোর গলায় বলেন, “করোনা চিকিৎসার জন্য রাজ্য যে যে জিনিসপত্র কিনছে, সেই স্তরেও দুর্নীতি ঢুকে পড়েছে। আবার সেই দুর্নীতি বন্ধ করতে তদন্ত টিম গঠন করেছে রাজ্য। কিন্তু, কারা সেই তদন্ত টিমের সদস্য? কাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে তার কোনও স্পষ্ট রিপোর্ট নেই।’ তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা সামগ্রী কেনার দায়িত্ব ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করা কমিটির হাতে। আমি এই বিষয়ে বহুবার কথা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কোনও যোগাযোগ করছেন না ।”
নাইসেড প্রধান শান্তা দত্ত এদিন অনুষ্ঠান শুরুতে বলেন, “অনুষ্ঠান পর্ব মিটে গেলে স্বেচ্ছাসেবকদের আহ্বান জানাব। অবশ্যই, ফিরহাদ হাকিম এগিয়ে এলে আরও মানুষ আসবেন। নথিভুক্ত করা নাম অনুযায়ী নইসেডে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে আসা হবে। ইতিমধ্যে ৩৫০টি আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু সকলকেই দেওয়া হবে এমনটা নয়।’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এর আগে প্রশ্ন উত্তর সহ একাধিক পরীক্ষানিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাবে স্বেচ্ছাসেবকরা। তারপর, রিপোর্ট এলে তাদের শরীরে প্রয়োগ করা হবে ভ্যাকসিন। ৩ মাসের মধ্যে ১০০০ জনের শরীরে কো-ভ্যাকসিনের ট্রায়াল দেওয়া হবে ।।