এইদিন ওয়েবডেস্ক,শিলিগুড়ি,২৬ ডিসেম্বর : ক্রমবর্ধমান ভারত বিদ্বেষ ও চিকেন নেক বিচ্ছিন্ন করে ভারতের উত্তর-পূর্বের ৭ রাজ্য “সেভেন সিস্টার্স” দখলের হুমকির জেরে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি ও মালদার সমস্ত হোটেলের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হল। প্রত্যেক হোটেলের সামনে লাগানো হয়েছে, “এখানে বাংলাদেশিদের প্রবেশের অনুমতি নেই” পোস্টার । মালদা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন,’বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে আমরা উদ্বিগ্ন। প্রতিদিন অশান্তি বাড়ছে। আমাদের জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ আতঙ্কিত। তাই বাংলাদেশিদের হোটেলে রুম দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি ।’
পাশাপাশি গ্রেটার শিলিগুড়ি হোটেলিয়ারস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক উজ্জ্বল ঘোষ বলেন,’গত বছর থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমরা শিলিগুড়ির কোনও হোটেলে কোনও বাংলাদেশি পর্যটককে থাকার ব্যবস্থা করব না… কিন্তু পরে, মানবিক কারণে, আমরা কেবলমাত্র মেডিকেল বা স্টুডেন্ট ভিসাধারী পর্যটকদের আমাদের হোটেলে থাকার বা থাকার ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতি দিয়েছিলাম। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং শিলিগুড়ি করিডোর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের সেভেন সিস্টার্স সম্পর্কে সেখানকার কিছু নেতার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাদের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাই । আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এখন থেকে, আমরা মেডিকেল ভিসায় আগত কাউকে আর হোটেলে থাকতে দেব না। আমাদের দেশ প্রথম; পরে আমাদের ব্যবসা ।’
জানা গেছে,নতুন ভিসা বা পুরনো ভিসাধারীদের ক্ষেত্রে দুই জেলার হোটেল ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশিদের জন্য ঘরভাড়া দেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে৷ জানা গেছে,প্রতি বছর, ২০ থেকে ২৫ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক চিকিৎসা ও পড়াশোনা উদ্দেশ্যে শিলিগুড়ি করিডর দিয়ে ভারতে আসে । তাদের একটা বড় অংশ শিলিগুড়িকে ট্রানজিট হাউস হিসাবে ব্যবহার করে । তবে হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠন সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তারা কোনো প্রকার আপোষ করবেন না । এদিকে, বাংলাদেশিদের জন্য পুরোপুরি হোটেলের দরজা বন্ধ করার দাবি তুলেছেন বিজেপি নেতা গৌরচন্দ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যেভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চলছে, তাতে চিকিৎসার জন্য কেউ ভারতে আসলেও হোটেলে জায়গা দেওয়া উচিত নয়। পুরো বিষয়টির ওপর দেশের সুরক্ষা নির্ভর করে।’।
