এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুম্বাই,২৬ ডিসেম্বর : ২০৫০ সালের মধ্যে মুম্বাইয়ের মুসলিম জনসংখ্যা ৩০% হবে এবং এবং হিন্দু জনসংখ্যা ৫৪% এ নেমে আসবে বলে টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্স, ইউএনও এবং এই জাতীয় প্রতিবেদনগুলিতে এই ভবিষ্যৎবানী করা হয়েছে । আর এত দ্রুত জনবিন্যাসের পরিবর্তনের জন্য রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি মুসলিমদের অনুপ্রবেশ এবং মুসলিমদের দেদার জন্মহারকে দায়ি করে এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে চিঠি লিখেছেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ কীর্তি সোমাইয়া(Kirti Somaiya) ।
চিঠি দুটি তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে হিন্দিতে লেখা চিঠির বিষয়বস্তু লিখেছেন, “বাংলাদেশি মুম্বাই – মুসলিম মুম্বাই” । এরপর তিনি লিখেছেন,”তথ্যসূত্র: টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস (টিআইএসএস) রিপোর্ট এবং অন্যান্য রিপোর্ট।” চিঠিতে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে লিখেছেন,’টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস (টিআইএসএস) মুম্বাইয়ে বাংলাদেশি/রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের উপর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এই অবৈধ অভিবাসীরা মুম্বাইয়ের জনসংখ্যা কাঠামো পরিবর্তন করছে এবং মুম্বাইয়ের উপর এক অনন্য আর্থ-সামাজিক চাপ সৃষ্টি করছে। জাতিসংঘ (ইউএনও) এবং অন্যান্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, প্রাকৃতিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির (উর্বরতার হার) প্রবণতা হল যে হিন্দু পরিবারগুলিতে সাধারণত “আমরা দুই, আমাদের এক বা দুই” পরিস্থিতি থাকে, যেখানে মুসলিম পরিবারগুলিতে “আমরা দুই, আমাদের তিন বা চার” পরিস্থিতি থাকার সম্ভাবনা বেশি।’
তিনি লিখেছেন,’প্রাকৃতিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই ভারসাম্যহীনতা এবং বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে, মুম্বাইয়ে হিন্দু জনসংখ্যা ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ৫৪%-এ নেমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা ১৯৬১ সালে ৮৮% ছিল। মুম্বাইয়ে মুসলিম জনসংখ্যা, যা ১৯৬১ সালে প্রায় ৮% ছিল, ২০৫১ সালের মধ্যে ৩০%-এরও বেশি বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’ তিনি এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখেছেন,’মুম্বাই ও মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতির উপর এই হস্তক্ষেপ এবং ধর্মের উপর এর প্রভাব একটি গুরুতর সমস্যা। এই বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করা হচ্ছে।’।

