এইদিন বিনোদন ডেস্ক,২৫ ডিসেম্বর : এই প্রথম বলিউডের কোনো শিল্পি বাংলাদেশের ময়মনসিংহের হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে আধমরা করে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় মুখ খুললেন । অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর এই ঘটনাকে “বর্বরোচিত” বলে অবিহিত করেছেন । পাশাপাশি এই ধরনের নৃশংসতায় মুখে কুলুপ এঁটে না থাকার জন্য জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি । অভিনেত্রী তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজে একটি জোরালো শব্দযুক্ত নোট শেয়ার করেছেন, যা প্রকাশ্যে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য ভক্তদের কাছ থেকে ব্যাপক মনোযোগ এবং প্রশংসা পেয়েছে।
পোস্টে জাহ্নবী লিখেছেন,’দীপু চন্দ্র দাস। বাংলাদেশে যা ঘটছে তা বর্বর। এটা হত্যাকাণ্ড এবং এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। যদি আপনি তার অমানবিক প্রকাশ্যে গণপিটুনির কথা না জানেন, তাহলে এটি সম্পর্কে পড়ুন, ভিডিও দেখুন, প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন। এবং যদি এত কিছুর পরেও আপনার কোনও রাগ না হয়, তাহলে ঠিক এই ধরণের ভণ্ডামিই আমাদের জানার আগেই ধ্বংস করে দেবে। আমরা যখন আমাদের নিজের ভাইবোনদের পুড়িয়ে মারা হবে তখন আমরা বিশ্বজুড়ে এই বিষয়গুলি নিয়ে কাঁদতে থাকব। আমাদের মানবতা ভুলে যাওয়ার আগে যেকোনো রূপে উগ্রবাদকে নিন্দা করা উচিত।’
ময়মনসিংহের ভালুকার ২৭ বছর বয়সী হিন্দু পোশাক শ্রমিক দীপু চন্দ্র দাসকে ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে মুসলিম জনতা পিটিয়ে আধমরা করে এবং জীবন্ত পুড়িয়ে মেরে ফেলে । পরবর্তী তদন্তে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) নিশ্চিত করেছে যে তিনি কোনও ধর্ম অবমাননা করেছেন এমন দাবির পক্ষে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদন অনুসারে, ঘটনাটি ধর্মীয় কারণ ছিল না , বরং কর্মক্ষেত্রে ষড়যন্ত্রের ফল । এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে পুলিশের প্রত্যক্ষ ভূমিকাও ছিল । স্থানীয় থানার পুলিশই দীপু দাসকে ধর্মোন্মাদ মুসলিম জনতার হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ । সূত্রের খবর, দীপু যে কারখানায় কাজ করতেন, সেখানে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা এবং পদোন্নতি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই হিংসার সূত্রপাত হয়। কারখানার কর্মকর্তারা তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে এবং হামলার আগে তাকে জনতার হাতে তুলে দেয় ।
দীপু তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন এবং তার স্ত্রী এবং ছোট মেয়ে রয়েছে। এই মামলাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে, জবাবদিহিতা এবং ন্যায়বিচারের দাবি আরও জোরদার হয়েছে।।

