এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৪ ডিসেম্বর : সোমবার রাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার কালিকাপুর গ্রামে পরপর চারটি বাড়িতে তালা ভেঙে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে । গ্রামবাসীরা টের পেয়ে গেলে ওই দুষ্কৃতীদলটিকে ঘিরে ধরে । সামারুল শেখ ও কুরবান শেখ নামে দুই দুষ্কৃতী ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পালাতে গিয়ে আহত অবস্থায় গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে যায় । তাদের বাড়ি নদীয়া জেলার কালীগঞ্জ থানার কামেরি গ্রামে । আর ওই দুষ্কৃতীদের জেরা করে “নদীয়ার চোরদের গ্যাং”-এর সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়ে পুলিশ৷ পুলিশ জানতে পেরেছে খেঁজুর রস সংগ্রহের কাজ বা ‘শিউলি’-এর ছদ্মবেশে এলাকায় ঘুরে বেড়াত ওই দলটি । আসলে দিনের বেলায় গ্রামে গ্রামে ঘুরে রেইকি করে ‘টার্গেট’ চিহ্নিত করত। তারপর রাতে হানা দিত৷ ঠিক এই ছকেই তারা কালিকাপুর গ্রামের ৪ বাড়িতে হানা দিয়ে সর্বস্ব লুটপাট চালায় ।
আজ বুধবার ধৃত সামারুল শেখকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তুলে চারদিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ । যদিও আর এক চোর কুরবান শেখের চিকিৎসা চলছে বর্ধমান হাসপাতালে। তবে সামারুলের দাবি তারা দুজন মিলেই সোমবার চুরি করতে গিয়েছিল । কিন্তু গ্রামবাসীরা জানিয়েছে যে ওই দলটিতে অন্তত দেড় ডজন দুষ্কৃতী ছিল । পুলিশের সন্দেহও তাই । পুলিশ মনে করছে যে ” নদীয়ার দুষ্কৃতী গ্যাং”টিতে আরও অনেকে যুক্ত আছে । সেই মোতাবেক ধৃত সামারুল শেখকে জেরা করে বাকিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃত সামারুল শেখ ও কুরবান শেখ দুজনেই দাগি দুস্কৃতী বলে পরিচিত। সামারুলের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগর থানা এলাকায় একটি সোনারূপোর দোকানে ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। কুরবানের বিরুদ্ধেও চুরির একাধিক মামলা রয়েছে। তবে কালিকাপুর গ্রামের চার বাড়িতে লুটপাট হওয়া সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে কিনা তা এখনো স্পষ্ট করেনি পুলিশ ।।

