দিব্যেন্দু রায়,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),১৮ সেপ্টেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সির ছেলে তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল যুব সভাপতি চঞ্চল বক্সিকে খুনের ঘটনায় আরও দুই সুপারি কিলারকে গ্রেফতার করল পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে,ধৃতদের নাম মহম্মদ ইমরান কুরেশি(২৮) ও শেখ শের আলি(২৮) । ইমরানের বাড়ি দুর্গাপুরের ডিভিসি মোড়ের কাছে ভবানীপল্লি এলাকায় । শেখ শের আলি বীরভূম জেলার দুবরাজপুর এলাকার বাসিন্দা । শুক্রবার বিকেলে আউশগ্রাম থানার পুলিশের দুটি পৃথক দল দুর্গাপুর ও বীরভূমের সাঁইথিয়ায় হানা দিয়ে তাদের গ্রেফতার করে । শনিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক ।
গত ৭ সেপ্টেম্বর খুন হন তৃণমূলের যুবনেতা চঞ্চল বক্সি । এই খুনের ঘটনায় স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) গঠন করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ । তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে পঞ্চায়েতের টেণ্ডার ও এলাকার কাজকর্মের ওপর কর্তৃত্ব নিয়ে সংঘাতের জেরেই বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকজন তাঁকে পরিকল্পনা করে খুন করেছে । খুনের ৬ দিনের মাথায় পুলিশ গ্রেফতার করে দেবশালা অঞ্চল যুব তৃণমূল সভাপতি তথা পঞ্চায়েতের সদস্য আসানুর মণ্ডল, আর এক পঞ্চায়েত সদস্য মনির হোসেন মোল্লা এবং তৃণমূলের দেবশালা অঞ্চল সভাপতির ছেলে বিশ্বরূপ মণ্ডলকে। তাদের জেরা করে পুলিশ আসানুরের ডান হাত বলে পরিচিত ভাতকুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা আয়ূব খান নামে আরও এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে ।
ধৃতদের জেরা করে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া থেকে মহম্মদ পাপ্পু ও মহম্মদ ইমতিয়াজ ওরফে পিন্টু নামে
দুই সুপারি কিলার তথা অস্ত্র ব্যাবসায়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ । ধৃত তৃণমূল নেতাদের জেরার পর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া এলাকায় হানা দেয় আউশগ্রাম থানার পুলিশের একটি বাহিনী । সেখানে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় একটি বাড়ি থেকে তাদের পাকড়াও করা হয় । পাপ্পু ও ইমতিয়াজকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, খুনের কাজে তারাই অস্ত্র সরবরাহ করেছিল । এছাড়া খুনের ঘটনায় তারা ছাড়াও আরও দুই সুপারিকিলারকে কাজে লাগানো হয়েছিল । তারা বাইকে চড়ে আউশগ্রামে এসে কাজ হাসিল করে চলে যায় । শেষ পর্যন্ত শুক্রবার বিকেলে বাকি দুই সুপারি কিলার মহম্মদ ইমরান কুরেশি ও শেখ শের আলিও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় । ধৃতদের জেরা করে এই খুনের ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ ।।