এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৩ ডিসেম্বর : বাংলাদেশের ময়মনসিংহের হিন্দু যুবক দিপু দাশকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের উপর নির্মমভাবে লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠল কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে । পুলিশের লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন । ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ তিনি পুলিশের এই লাঠিচার্জকে “বর্বরতা” বলে অভিহিত করেছেন৷
কলকাতার ৬ মুরলীধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপি মুখ্য কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’একটা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ছিল । বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিভিন্ন শাখা এই বিক্ষোভ মিছিলটি করে । সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক কর্মসূচি ৷ কিন্তু সেখানে বেকবাগানের পুলিশ যেভাবে অত্যাচার করেছে তার ফলে ৮-১০ জন আহত হয়েছে । তাদের চিত্তরঞ্জন,পিজি এবং এনআরএস -এ জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে । তাদেরকে আমরা কল্যাণী এইমস অথবা কোন বেসরকারি ভালো হাসপাতালে স্থানান্তরিত করছি ৷’ তিনি আরো জানিয়েছেন যে তিনজন হিন্দুকে আটক করা হয়েছে । তারা হলেন : প্রণতি রায়, সৌরজিৎ চক্রবর্তী এবং নকুল ভট্টাচার্য ।
জানা গেছে,গতকাল শুভেন্দু অধিকারী নিয়ে নেতৃত্বে দিপু দাশকে নির্মমভাবে পিটিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতার বাংলাদেশ হাই কমিশনের অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপির কর্মী সমর্থক এবং বেশ কিছু সাধু সন্ন্যাসী৷ আজ মঙ্গলবার মঙ্গলবারও কলকাতায় মিছিল করেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। শঙ্খনাদের মধ্যে দিয়ে, ত্রিশুল হাতে গেরুয়া পতাকা নিয়ে শুরু হয় মিছিল। সেই মিছিল আটকাতে পুলিশের কার্যত যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যায়৷ বেকবাগানে মিছিল আটকালে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তখনই পুরুষের সঙ্গে বচসা, হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এরপর পুলিশ নির্মমভাবে লাঠিচার্জ শুরু করে বলে অভিযোগ৷ লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন মিছিলে অংশগ্রহণকারী সন্ন্যাসী লালবাবা৷ আহত হন আরো বেশ কয়েকজন সাধু সন্ন্যাসী এবং আন্দোলনকারী৷ প্রতিবাদী মহিলাদের কাপড় ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে৷
পুলিশের এই নির্মম লাঠিচার্জ এর তীব্র প্রতিবাদ করেছেন আক্রান্ত সাধু সন্ন্যাসীরা৷ তারা পুলিশের এই ভূমিকাকে “নির্মম বর্বরতা ও অসভ্যতা” বলে অবিহিত করে বলেছেন,’এই পুলিশ রাজ্য পুলিশ নয়, এ পুলিশ বাংলাদেশী পুলিশ।’।

