প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৭ নভেম্বর : কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অনবদ্য সাহিত্য সৃষ্টি ’দেবদাস’ উপন্যাস । যে উপন্যাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার ’হাতিপোতা’ গ্রামের নাম । সেই হাতিপোতা গ্রামের মানুষজন শুক্রবার ঘটা করে পালন করলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম দিবস। কথা সাহিত্যিকের মূর্তিতে মাল্যদান করার পাশাপাশি তাঁর ছবি হাতে নিয়ে এদিন পদযাত্রায় আংশ নিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ সহ হাতিপোতা গ্রামের পড়ুয়া ও বাসিন্দারা । উপন্যাসে উল্লিখিত হাতিপোতা গ্রামে দেবদাসের মৃত্যুর স্থানে ’দেবদাস স্মৃতি বৃক্ষ’ হিসাবে এদিন একটি অশ্বথ্থ গাছও রোপন করেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এমন নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এদিন কার্যত দেবদাস ময় হয়ে থাকলো কথা সাহিত্যিকের স্মৃতি বিজরিত গোটা হাতিপোতা গ্রাম ।
কালনার নান্দাই পঞ্চায়েতের হাতিপোতা গ্রামে
২০০৭ সালে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল । সেই থেকে প্রত্যেক বছর ৩১ ভাদ্র হাতিপোতা গ্রামে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন পালন করা হয়ে আসছে ।দেবদাস স্মৃতি মেলা’ ও অনুষ্ঠিত হয় ।
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এদিন বলেন , ‘কথা সাসিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অনন্য সৃষ্টি ‘দেবদাস’ উপন্যাস । সেই উপন্যাসের নায়ক দেবদাস । উপন্যাসেই কথা সাহিত্যিক উল্লেখ করেছেন হাতিপোতা গ্রামের নাম। হাতিপোতার জমিদার ভুবনমোহন চৌধুরীর সঙ্গে উপন্যাসের নায়িকা পার্বতী অর্থাৎ পারু-র বিয়ে হওয়ার কথাও দেবদাস উপন্যাসে উল্লেখ রয়েছে । এছাড়াও ওই জমিদার বাড়ির কাছে থাকা একটি অশ্বথ্থ গাছের উল্লেখও দেবদাস উপন্যাসে পাওয়া যায় । সেখানেই উপন্যাসের নায়ক দেবদাস জীবনের অন্তিম লগ্নে আসেন এবং সেখানেই দেহ রাখেন“। স্বপন বাবু আরও জানান , দেবদাস উপন্যাসের কাহিনী নিয়ে চলচ্চিত্রও তৈরি হয়েছে । দেবদাস উপন্যাসের দৌলতে হাতিপোতা গ্রামের পরিচিতি আজ বিশ্বজুড়ে । কথা সাহিত্যিক তাঁর দেবদাস উপন্যাস লেখার সময়কালের অবস্থা আজ আর হাতিপোতা গ্রাম নেই । গ্রামের অনেক উন্নয়ন হয়েছে । তবুও দেবদাস উপন্যাসের হাতিপোতা গ্রামকে আজও ভুলতে চাননা এই গ্রামের বাসিন্দারা । কথা সাহিত্যিক এই গ্রামের বাসিন্দাদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েই রয়ে আছেন ।।