এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২১ ডিসেম্বর : ফের এরাজ্যে প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে । এবারে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার জয়নগর বিধানসভা এলাকায় একটি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর । একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি অভিযোগ করেছেন, একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে দিয়ে চুপিসারে ভাঙা মূর্তিটি সরিয়ে নতুন মূর্তি প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করছিল পুলিশ ।
শুভেন্দু অধিকারীর শেয়ার করা ভিডিও রেকর্ড করা ব্যক্তিকে বলতে শোনা গেছে,সারের পাড়া মহাশ্মশানের পাশে মন্দিরের মূল মূর্তির পাশে একটি প্রতিমা ছিল । কিন্তু সকাল থেকে মূর্তির মাথা দেখা যাচ্ছে না৷ কোন ব্যক্তি ভেঙে দিয়ে পালিয়েছে। ব্যক্তি বলা ভুল দুষ্কৃতি । এইরকম করলে আমাদের পশ্চিমবঙ্গে কি হবে ?’ পাশে কাউকে তাকে জিজ্ঞেস করতে শোনা গেছে,’আমাদের হিন্দুত্ব মেটানোর জন্য এসব করছে নাকি বলতো ?’
ভিডিওর পরের অংশে দেখা গেছে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার কে ঘিরে ধরে আছে গ্রামবাসীরা । একজন গান্বেসি জিজ্ঞেস করেন,’ভাঙ্গা ঠাকুর টা সরালেন কেন ?’ তখন সিভিক পুলিশ চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন । কিন্তু গ্রামবাসীরা তাকে আটকে দেয় ।
চিত্ত গ্রামবাসী ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বলেন, এই ঠাকুরের মূর্তি টা ভাঙ্গা হয়েছে । জিহাদীর বাচ্ছারা এই ঠাকুরটা ভেঙেছে । পুলিশ সিভিক ভলেন্টিয়ার কে ব্যবহার করে টোটো ভাড়া করে আরেকটা মূর্তি এনেছে । যাতে ভাঙ্গা মূর্তির পরিবর্তে ওই মূর্তিটা বসিয়ে দেওয়া যায় ।’ এরপর তিনি সিভিক ভলেন্টিয়ার কে দেখিয়ে বলেন, এই সেই সিভিক পুলিশ । সিভিক পুলিশকে দিয়ে কি জঘন্য কাজ করা হচ্ছে তার জলজ্যান্ত উদাহরণ । এদের দিয়েই যত রকম জঘন্য, নিকৃষ্ট মানের কাজ করানো হচ্ছে । সিভিক পুলিশকে দিয়ে ভ্যান ভাড়া করে ঠাকুর আনানো হয়েছে ।’ সিভিক ভলেন্টিয়ার পালানোর চেষ্টা করলে ওই গ্রামবাসী তাকে আটকে দেয় ।’ ঘটনাস্থলে প্রচুর মহিলা এবং পুরুষ জড়ো হয়ে যায় । তারা তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ।
শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’জয়নগর বিধানসভায় হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি আবার ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতীরা। এলাকার মানুষরা পথ অবোরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকলে পুলিশ অবরোধকারীদের মরধর করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা না করে এক সিভিক ভলান্টিয়ার কে দিয়ে একটি নতুন মূর্তি এনে সেখানে স্থাপনের চেষ্টা করে।’ তিনি আরও লিখেছেন,
‘এভাবে আর কতদিন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপশাসন আর তোষণ নীতির ফল আর কতদিন ভোগ করবে হিন্দুরা। আজ পর্যন্ত এই ধরণের ঘটনায় মমতা প্রশাসন কাউকে ধরে শাস্তির আওতায় আনেনি শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতির কারণে।
অবিলম্বে এই তোষণকারী সরকারকে বিদায় দিতে না পারলে হিন্দুদের জন্য আগামীদিন বড়োই ভয়ঙ্কর হতে চলেছে। সকল হিন্দুদের বলব দলমত নির্বিশেষে এক হয়ে এই সরকারের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিবর্তন ঘটানো আশু প্রয়োজন নচেৎ এই নির্লজ্জ প্রশাসনের ঘুম ভাঙবে না আর হিন্দুদের আস্থার উপর এমন আঘাতের ঘটনা বারবার ঘটবে।’।

