এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৯ ডিসেম্বর : পাকিস্তান-সমর্থিত বাংলাদেশী চরমপন্থী দল জামায়াতে ইসলামীর আদর্শে অনুপ্রাণিত “জুলাই ৩৬ মঞ্চ” নামে একটি গোষ্ঠীর ওসমান হাদী নামে এক জিহাদিকে অজ্ঞাতনামারা গুলি করে মারার পর ফের হিংসার আগুনে জ্বলছে বাংলাদেশ । উগ্র ইসলামি মতাদর্শে বিশ্বাসী ওই দলের নিশানায় রয়েছে মূলত সেদেশের হিন্দুরা ও ভারত । বৃহস্পতিবার রাতে ইসলামপন্থী উগ্রবাদীদের সাম্প্রদায়িক হিংসার শিকার হয়েছেন বাংলাদেশের ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় হবিরবাড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা ৩০ বর্ষীয় হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাস(৩০) । তার বিরুদ্ধে ধর্মনিন্দার মিথ্যা অভিযোগ তুলে বাড়ি থেকে টেনেহেঁচড়ে বের করে হবিরবাড়ি ইউনিয়নের স্কয়ার মাস্টার বাড়ি পাইনিয়ার অফিসের সামনে নির্মমভাবে পিটিয়ে গলায় দড়ি বেঁধে একটা গাছে ঝুলিয়ে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়েছে । সেই নৃশংস বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে । এই ঘটনার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে রাজ্য বিজেপির যুবমোর্চার সহ-সভাপতি ও কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী তরুনজ্যোতি তিওয়ারি রাজ্যের হিন্দুদের সতর্ক করে বলেছেন,’বাংলাদেশ দূরের আয়না নয়, ভবিষ্যতের সতর্ক সংকেত ; আজ চুপ থাকলে, কাল নাম আসবে তালিকায় ।’
ময়মনসিংহের ভালুকায় হিন্দু যুবককে পুড়িয়ে মারার ভিডিও এক্স-এ পোস্ট করে তিনি লিখেছেন,’হিন্দু হয়ে জন্মানো কি তবে অপরাধ? দিপু চন্দ্র দাশকে অভিযোগের ভিত্তিতে, বিচার ছাড়াই, প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারা হলো। মৃতদেহ পুড়িয়ে, রাস্তায় টেনে নিয়ে গিয়ে উল্লাস—সবই লাইভে দেখানো হয়েছে। এটা হঠাৎ নয়, এটা বার্তা: সংখ্যালঘু হলেই শিকার।’
তিনি লিখেছেন,’অনেকে বলেন, “ওটা বাংলাদেশ, এখানে নয়।” কিন্তু চন্দন দাস, হরগোবিন্দ দাস? Malda, Murshidabad? পুলিশ ফোন ধরেনি, অ্যাম্বুলেন্স আসেনি, পরে সবকিছু “বিচ্ছিন্ন ঘটনা”।’
তরুনজ্যোতির কথায়,’বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে প্রকাশ্যে। পশ্চিমবঙ্গে সেই আগুন নীরবে, ভোটব্যাংকের আড়ালে। যেখানে ধর্মই অপরাধ, অভিযোগই শাস্তি—সেখানে রাষ্ট্র ব্যর্থ। নামে যাই হোক—ফল একটাই। বাংলাদেশ দূরের আয়না নয়, ভবিষ্যতের সতর্ক সংকেত। আজ চুপ থাকলে, কাল নাম আসবে তালিকায়। অধিকার ভিক্ষা নয়, অধিকার দাবি ।EK HAI TO SAFE HAI.”

