এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,১৬ ডিসেম্বর : বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জামাত ইসলামি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি(বিএনপি) পাকিস্তানের নরপশু সেনার হয়ে অস্ত্র ধরেছিল । কারন তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিল না । আর স্বাধীনতা আন্দোলন দমন করতে তারা পাকিস্তানি সেনাদের সাথে মিলে লক্ষ লক্ষ হিন্দু পরিবারকে দেশ ছাড়া করেছিল । অগনিত হিন্দু নারী ওই নরপশুদের গনধর্ষণের শিকার হয়েছিল । বহু হিন্দু নরনারীকে তারা জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করেছিল । এই কারনে ওই দুই দলকে “রাজাকার” বলা হয় । কিন্তু আজ বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের আবহে উগ্র ইসলামি সংগঠন জামাত ইসলামি দাবি করছে যে তারা নাকি মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না,বরঞ্চ ভারতের বিরুদ্ধে ছিল । একথা বলেছে কুষ্টিয়া-৩ আসনের জামাত প্রার্থী মুফতি আমির হামজা ।
মুফতি আমির হামজা বলেছে,আপনারা বদরুদ্দীন উমরের ইতিহাস পড়বেন। তার লিখিত বইতে আমরা পড়েছি, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেসব কল্পকাহিনী লেখা, এগুলো ১০০ ভাগের ৯০ ভাগ মিথ্যা। জামায়াত ইসলামী ওই সময় যুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না, তারা ছিল ভারতের বিরুদ্ধে। এখন আমরা এটা জেনেছি, এতদিন আমাদের এই সত্য জানতে দেওয়া হয়নি।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়া শহরে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত বিজয় র্যালিতে এই মন্তব্য করে আমির হামজা। সে আরও বলেছে, ‘আগামীর বাংলাদেশ আমরা ভারতের তাবেদার মুক্ত করে এদেশকে স্বাধীনচেতা হিসেবে চলতে চাই। আজকের এই র্যালির এটাই উদ্দেশ্য।’
ওই কট্টরপন্থী বলেছে, ‘এদেশে যারাই জন্ম নেবে তারাই সম্মানিত নাগরিক। সবাইকে নিয়ে আমরা আবার এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমার মনে হয় পেছনের ইতিহাস পেছন দিকে টানা ঠিক না। পেছনের সব ইতিহাস ভুলে আমরা নতুন ইতিহাস তৈরি করবো। এখানে কোনো দল-মত না থাকাই ভালো। সবাই আমরা এক।’
বিজয় র্যালিতে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজা উদ্দীন জোয়ার্দ্দার, সহকারী সেক্রেটারি মাজহারুল হক, শহর জামায়াতের আমির এনামুল হক প্রমুখ উগ্রবাদীরা উপস্থিত ছিল ।।

