প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৬ সেপ্টেম্বর : হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী বিশ্বকর্মাকে শিল্পের দেবতা হিসাবেই মানা হয়ে থাকে। সেই দেবতা বিশ্বকর্মার পুজোতেও এবার লাগলো রাজনীতির ছোঁয়া।পূর্ব বর্ধমানের কালনার নতুন বাসস্ট্যান্ডে তৃণমূলে শ্রমিক ইউনিয়ন যে বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করেছে তার থিম ভাবনায় মূলে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।পাশাপাশি যোগী রাজ্যে গঙ্গায় লাশ ভাসা ও একবুক হতাশা নিয়ে কাজ হারানো পরিযায়ী শ্রমিকদের পদব্রজে বাড়ি ফেরার দৃশ্যও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়গুলিও তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়ন আয়োজিত বিশ্বকর্মা পুজোর থিমে জায়গা করে নিয়েছে ।
রাজনীতির ছোঁয়ায় মোড়া কালনার তৃণমুল শ্রমিক সংগঠন আয়োজিত এই বিশ্বকর্মা পুজোর বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় । পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সহ-সভাধীপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপত্র দেবু টুডু ,কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ,জেলা পরিষদ সদস্য আরতি হালদার,কালনা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তপন পোড়েল প্রমুখরা এই পুজোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন ।বিরোধীরা কটাক্ষ করলেও রাজনীতির থিম ভাবনা কে পাথেও করে হওয়া এই বিশ্বকর্মার পুজো মণ্ডপ ও প্রতিমা দেখতে এদিনই বহু মানুষ মণ্ডপে ভিড় জমান । এমন থিম ভাবনায় বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন প্রসঙ্গে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কালনা মহকুমা কার্যকরি সভাপতি অঞ্জন চট্টোপাধ্যায় তাঁর মতো ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
তিনি বলেন , ‘গোটা পশ্চিমবাংলার মানুষের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভূত উন্নয়ন কাজ করেছেন। এখনও করে চলেছেন । অন্য কোন রাজ্যে ১০ বছরে এত উন্নয়ন হয়নি । তাই বাংলা জুড়ে হওয়া সেইসব উন্নয়ন কাজের খণ্ডচিত্র বিশ্বকর্মা পুজোর থিম ভাবনার মধ্যদিয়ে তাঁরা জনসমক্ষে তুলে ধরেছেন ।পাশাপাশি বিজেপি শাসিত গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশের মানুষের দুর্দশার চিত্র ও সেখানকার গঙ্গায় করোনায় মৃত ব্যক্তিদের লাশ ভেসেযাওার ঘটনা বলিও থিমের মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের বিশ্বকর্মা পুজোর থিমে তেলেছেন। কারণ এইসব খণ্ডচিত্রের মধ্য থেকে বিজেপি শাসিত রাজ্যের সঙ্গে বাংলার ফারাকটা সহজেই বুঝে নিতে পারবেন কালনার মানুষজন ।’
বিজেপির পূর্ব বর্ধমান কাটোয়া সাংগাঠনিক জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ এই বিষয়ে বলেন ,
‘এই পশ্চিমবাংলায় সর্বক্ষেত্রে এখন রাজনীতি করণ হচ্ছে । তৃণমূলের দৌলতে এবার দেবতা বিশ্বকর্মাও রাজনীতির পাকেচক্রে জড়িয়ে গেলেন । পশ্চিবঙ্গবাসীকে আগামী দিনে এমন আরো কিছু দেখার জন্য তৈরি থাকতে হবে ।’।