এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১০ ডিসেম্বর : ফের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে এরাজ্যে৷ এবারেও ঘটনাস্থল সেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা । জেলার কুলপি বিধানসভার রামকৃষ্ণপুর অঞ্চলে সিঙ্গির হাট মোড় এলাকায় রাতের অন্ধকারে ভগবান বজরংবলীর মূর্তির মাথা কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি মস্তক বিহীন প্রতিমার ছবি ও ক্ষিপ্ত জনতার পথ অবরোধের ভিডিও মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স-এ শেয়ার করেছেন৷
শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,”দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলপি বিধানসভার রামকৃষ্ণপুর অঞ্চলে সিঙ্গির হাট মোড় এলাকায় স্থিত বজরংবলী মন্দিরে বজরংবলীর মূর্তির মাথা কেটে নেওয়া হল গতকাল রাত্রে। সেই সাথে মন্দিরের আরতির মাইক সেট টিও ভাঙচুর করা হয়েছে। অবিলম্বে প্রশাসনের কাছে দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করছি।”
তিনি এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে তুলোধুনো করেছেন৷ বিরোধী দলনেতা এরপর লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের আস্থা এবং বিশ্বাসের উপর এখন প্রতিনিয়ত আক্রমণ ঘটে চলেছে। হিন্দুদের আরাধ্য দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুর করা হচ্ছে। কাকদ্বীপ থেকে মন্দির বাজার সর্বত্র এই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
খোদ মমতা পুলিশ মা কালীকে প্রিজন ভ্যান-এ তুলছে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে এ দৃশ্য ও রাজ্যবাসী দেখেছে। মমতা পুলিশ জঙ্গি জিহাদীদের গ্রেফতার না করে, উল্টে সনাতনীদের ভাবাবেগ ও অনুভূতিতে আঘাত লাগায় তারা আন্দোলন ও প্রতিবাদ করলে নির্বিচারে তাদের ধরপাকড় করছে।
আসলে বর্তমান তোষনকারী সরকারের আমলে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা শেষ হয়ে গেছে, তাই প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেওয়ার কারণে তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে, যে কারণে এই প্রবণতা দিন প্রতিদিন বেড়েই চলেছে।”
প্রসঙ্গত,চলতি বছরের অক্টোবর মাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের সূর্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি মন্দিরে দেবী কালী মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে । ক্ষিপ্ত হিন্দুরা দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে ভাঙা প্রতিমা নিয়েই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে৷ এরপর পুলিশ জোর করে মুর্তিটি প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে চলে যায়৷ পুলিশের এই ভূমিকায় দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে । যদিও পুলিশের সাফাই ছিল যে স্থানীয়রা ভাঙা মূর্তি নিয়ে জাতীয় সড়ক আটকে বিক্ষোভ দেখায় এবং বিসর্জনে বাধা দেয়। পুলিশ তাদের বোঝানোর চেষ্টা করে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। তখন পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরাতে ন্যূনতম বলপ্রয়োগ করে। এরপর মূর্তির বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হয়।।

