এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুর্শিদাবাদ,১০ ডিসেম্বর : শুধু ভারতের বিভিন্ন রাজ্যগুলি থেকে নয়, মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলি ছাড়াও বাংলাদেশ থেকেও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা পাঠানো হচ্ছে মুর্শিদাবাদে “বাবরি মসজিদ” নির্মানের জন্য । এখন পর্যন্ত, বহিষ্কৃত তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের মসজিদের জন্য ২ কোটি ৪০ লক্ষ চাঁদা এসেছে । বেলডাঙ্গায় মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দিনে “দানবাক্সে” জমা পড়া বিপুল টাকা গণনা করার জন্য মেশিন ব্যবহার পর্যন্ত করতে হয়েছে । ৩০ জনের একটি দল সেই টাকা গননা করে । তবে নগদ টাকার অঙ্ক ৩ কোটি টাকাও ছাড়িয়ে গেছে । অনেকে সোনার অলঙ্কারও দান করেছে । সব মিলে ৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা মসজিদ নির্মাণের জন্য গঠিত কমিটির ।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন যে অনলাইনে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ১০ লক্ষ টাকা (প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার) এবং নগদ ৩৭ লক্ষ (প্রায় ৩.৭ মিলিয়ন ডলার) টাকা জমা হয়েছে। ৬ মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় হুমায়ূন কবির মসজিদের বাইরে QR কোড সহ ১২টি দান বাক্স স্থাপন করেছিলেন। কবির জানিয়েছেন যে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের খরচ নগদ অনুদানের মাধ্যমে বহন করা হবে।
হুমায়ূন কবিরের ঘনিষ্ঠরা দাবি করেছেন যে মূল মঞ্চে ১৩ লক্ষ টাকা (প্রায় $১.৩ মিলিয়ন), সভার আয়োজনের জন্য ২ লক্ষ টাকা এবং শুধুমাত্র বিরিয়ানির প্যাকেটের জন্য ২২ লক্ষ টাকা (প্রায় $২.২ মিলিয়ন) খরচ হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন যে হুমায়ূন কবিরের আবেদনের পর, বিপুল সংখ্যক সমর্থক মসজিদের জন্য অর্থ এবং ইট নিয়ে আসছেন। কবির বলেছেন যে তিনি প্রত্যাশার চেয়েও ভালো সাড়া দেখতে পাচ্ছেন এবং ভারতের বাইরে থেকেও অনুদান আসছে। কবিরের সহযোগীরা জানিয়েছেন যে অর্থ সিসিটিভি নজরদারি সহ একটি সুরক্ষিত কক্ষে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং এর সুরক্ষার জন্য ব্যাংকগুলির সাথে আলোচনা চলছে।
এদিকে মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি বীরভূম, মালদা থেকেই ‘বাবরি’ মসজিদ তৈরির প্রস্তাব এসেছে বলে জানিয়েছেন হুমায়ূন কবির৷ তিনি জানান,রামপুরহাট, সিউড়ি থেকে কিছু লোক এসে অনুরোধ করেছেন। মালদা থেকেও অনেকে যোগাযোগ করেছেন । বীরভূম ও মালদায় ‘বাবরি’ মসজিদের প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর ।।

