এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেঙ্গালুরু,০৬ ডিসেম্বর : কর্ণাটকের সিলিকন সিটি বেঙ্গালুরুতে লাভ জিহাদের আর একটি ঘটনা সামনে এসেছে৷ যেখানে একজন মুসলিম ব্যক্তি একজন হিন্দু তরুনীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তরিত না হলে তাকে দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকারের মত ৩২ টুকরো করে কেটে ফেলার হুমকি দিয়েছে৷ ভুক্তভোগী হিন্দু তরুনী নিজেই এই বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে কথা বলেছেন । তার অভিযোগ যে, মহম্মদ উসমান (Mohd Usman) তাকে বলেছিল যে ধর্মান্তরিত হওয়ার পরেই সে বিয়ে করবেন, অন্যথায় সে তাকে দিল্লির শ্রদ্ধার মতো হত্যা করবে,৩২ টুকরো করে কেটে আবার বিয়ে করবে ।
ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর সুদ্দাগুন্তে থানার আওতাধীন। মহম্মদ উসমান নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার বিরুদ্ধে লাভ জিহাদের গুরুতর অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা । এই বিষয়ে সুদ্দাগুন্তে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি । তরুণীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে, একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে যে, মুসলিম সম্প্রদায়ের এক যুবক, যার সাথে তরুনী লিভিং টুগেদার সম্পর্কে ছিলেন, প্রেমের পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করতে নির্যাতন করেছিল ।
তরুণীর অভিযোগ কী?
অভিযুক্ত উসমানের সাথে দুই বছর আগে বন্ধুদের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর পরিচয় হয়। পরে তাদের বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয়। প্রাথমিকভাবে তরুণী তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে কারণ সে একজন মুসলিম ছিল। সেই সময় উসমান তার প্রেম গ্রহণ না করলে আত্মহত্যার হুমকি দেয়।পরে, সে তরুণীকে বোঝায় যে তাকে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করতে হবে না। উসমানের কথায় বিশ্বাস করে তরুণী পরে সম্পর্কে রাজি হয়ে যায়। তারা দুজনে দেড় বছর ধরে লিভ ইন রিলেশনশিপে ছিলেন। পরে, যখন তরুণী উসমানকে বিয়ে করতে বলেন, তখন সে তাকে এই বলে প্রত্যাখ্যান করেন যে ধর্মান্তরের পরেই বিয়ে সম্ভব। এমনকি তরুনীর সঙ্গে শারিরীক মিলনের মুহুর্তের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার হুমকি দেয় উসমান ।
ধর্মান্তরিত হতে অস্বীকার করলে অভিযুক্ত উসমান তরুণীকে মারধর পর্যন্ত শুরু করে এবং তাকে হত্যার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, সে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ১২.২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় । তরুণী অভিযোগ করেছেন যে উসমান তাকে ৩২ টুকরো করে কেটে ফ্রিজে রেখে অন্য মেয়েকে বিয়ে করার হুমকি দিয়েছিল।
এদিকে, অভিযোগ করা হয়েছে যে তরুণী জানতে পেরেছিলেন যে উসমান একজন মাদকাসক্ত, এবং সে কেবল তার সাথে টাকা ও সোনার প্রতারণাই করেনি, বরং তার ব্যক্তিগত ছবি রেখে তাকে ব্ল্যাকমেইল করেছে এবং জোরপূর্বক যৌন নির্যাতন করেছে। উসমানের দ্বারা গভীরভাবে আহত তরুণী দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। মার্চ মাসে সুদ্দাগুন্তেপাল্যা থানায় অভিযোগ দায়ের করা ওই তরুণী অভিযোগ করেছেন যে পুলিশ এখন যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অনিচ্ছুক। তিনি যেমন বলেছিলেন, কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি এবং কোনও চার্জশিটও দাখিল করা হয়নি। ভুক্তভোগী সংবাদমাধ্যমের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং যথাযথ ন্যায়বিচারের দাবি জানান।।

