এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুর্শিদাবাদ,০৬ ডিসেম্বর : এক কোটি টাকা মাথার নাম দেওয়া ভিন রাজ্যের ব্যক্তির উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুরের বহিষ্কৃত তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবির বলেছেন, “আমরা কোন অহিংস নীতিতে বিশ্বাসী নই” । আজ বেলডাঙ্গায় “বাবরি মসজিদ”-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন,’সারা ভারতে ১৪৫ কোটির মধ্যে ৪০ কোটি মুসলমানের বসবাস । বাংলায় সাড়ে এগারো কোটির মধ্যে ৪ কোটি মুসলমানের বাস। সেখানে আমরা একটা বাবরি মসজিদ করতে পারব না? এত বড় হিম্মত, আমার মাথার দাম ঘোষণা করা হচ্ছে এক কোটি টাকা। এত বড় হিম্মত ? আমরা কোন অহিংস নীতিতে বিশ্বাসী না ।’ তিনি বলে,’বারো কোটি কা ৩৭% মুসলমান আবাদি হ্যায়৷ এ শহীদ হো যায়েগি লেকিন বাবরি মসজিদ কা এক ভি ইঁট খোল্লে নেহি দেগি । এ মেরা চ্যালেঞ্জ হ্যায় ।’ তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন,’১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর যে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে দিয়েছিল,সেই বাবরি মসজিদ বেলডাঙ্গা হবে হবে হবে৷’ বহিষ্কৃত তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ূন কবিরের বক্তব্য শুনুন 👇
প্রসঙ্গত, হুমায়ূন কবির মসজিদের নাম “বাবরি” রাখায় মূলত বিরোধ হচ্ছে । একজন মুঘল বর্বর হানাদারকে মহিমান্বিত করায় মূলত বিজেপির তরফ থেকে এর বিরোধিতা করা হচ্ছে । যদিও এই বিরোধিতা প্রসঙ্গে তার বক্তব্য হল,’রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন মন্দির বানান, আমরা তো তার বিরোধিতা করি না। তিনি যখন কার্নিভাল করেন, রেড রোড আটকে, আমরা তো তার বিরোধিতা কোনওদিন করি না। যখন তিনি সরকারি টাকায় একটা সম্প্রদায়কে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দিচ্ছেন। তখন তো আমরা বিরোধিতা করিনি। আমি সংবিধানের উপরে দাঁড়িয়ে আমি আমার অধিকার মসজিদ করার। সেই মসজিদের কী নাম দেব? আমার পুত্র-সন্তান জন্মালে আমি তার নাম বাবর রাখব না হুমায়ুন রাখব, মুখ্যমন্ত্রী বলে দেবেন?’
এদিকে মসজিদের শিলান্যাস ঘিরে নিরাপত্তার চাদড়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে বেলডাঙা। নজরদারিতে কুইক রেসপন্স টিম, র্যাফ, ভিলেজ পুলিশ থেকে মহিলা কনস্টেবল—সবাই। মাঠের চারপাশে টহল গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকদেরও। নিরাপত্তায় থাকছেন দু’জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিক, ৩০ জন ডিএসপি, ১০০ ইন্সপেক্টর, ২০০ সাব–ইন্সপেক্টর/এএসআই, কনস্টেবল, লেডি কনস্টেবল, সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশ। আজ শনিবার বেলা ১২টায় বেলডাঙায় ২৫ বিঘা জমির উপর হবে ‘বাবরি মসজিদ’-এর শিলান্যাস। উদ্যোক্তাদের দাবি শিলান্যাসে জড়ো হবেন প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ।হুমায়ুন কবীর জানান, ২৫ বিঘার জমিতে মসজিদের শিলান্যাসের সাক্ষী থাকবেন প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ। সব মিলিয়ে খরচ হবে প্রায় ৬০–৭০ লক্ষ টাকা। মঞ্চ তৈরিতে ব্যয় ১০ লক্ষ টাকা। রান্নার দায়িত্বে ৭টি কেটারিং সংস্থা, তৈরি হচ্ছে ৪০ হাজার ‘শাহি বিরিয়ানি’।।

