এইদিন ওয়েবডেস্ক,কোচবিহার,০৪ ডিসেম্বর : ফের এক বাংলাদেশি গরু পাচারকারীকে গুলি করে মারল বিএসএফ । এবারে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা -১ এর অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া টপকে কয়েকজন গরু পাচারকারী ভারতের অভ্যন্তরে ঢোকার চেষ্টা করলে বিএসএফ জওয়ানরা বাধা দেয় । কিন্তু বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদলটি বিএসএফ-এর উপর আক্রমণ করে । বিএসএফ বাধ্য হয়ে গুলি চালাতে বাধ্য হয়। তখন বাকিরা পালাতে সক্ষম হলেও সবুজ হাসান মিয়া (৩০) নামে একজন দুষ্কৃতী খতম হয় । ওই দুষ্কৃতী বাংলাদেশের পাটগ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে,বুধবার রাত প্রায় আড়াইটা নাগাদ বাংলাদেশের দিক থেকে কয়েকজন গরু পাচারকারীর দল কাঁটাতারের বেড়া টপকে গরু পাচারের চেষ্টা করছিল। বিষয়টি বিএসএফ জওয়ানদের নজরে পড়লে তাদের বাধা দেয়। তখন সবুজ হাসান নামে ওই দুষ্কৃতী বিএসএফের ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে । আত্মরক্ষার্থে ১৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন গুলি ছুড়লে ওই দুষ্কৃতী গুলিবিদ্ধ হয় । তাকে উদ্ধার করে মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছায় মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিএসএফের তরফে এবিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় মুখার্জি বলেন, ‘বিএসএফের তরফে একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
অন্যদিকে ঘটনার পর বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষীর (বিজিবি) পক্ষ থেকে বিএসএফের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ৬১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বলেন, ‘পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে সবুজ মিয়া (৩০) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। বিএসএফের এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। দেহ ফেরত আনার বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে ঘটনার সঠিক কারণ উদঘাটন এবং ভবিষ্যতে সীমান্তে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হবে।’।

