এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),৩০ নভেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের এক বুথ লেভেল অফিসারের(বিএলও) অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় ফের কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন(এসআইআর) প্রক্রিয়াকে । শনিবার গভীর রাতে ভাতার থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা রমেন্দ্রনাথ রায় (৫৯) নামে ওই বিএলও বুকে ব্যাথা অনুভব করলে তাকে গুসকরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় ঘন্টা সাতেক চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ ফের তিনি এস আই আর-এর কাজ শুরু করেন । অসুস্থতার কারন হিসাবে এসআইআর-এর অতিরিক্ত কাজের চাপকে দায়ি করেছেন ওই বিএলও-এর স্ত্রী আশালতা দেবী ।
জানা গেছে,রমেন্দ্রনাথ রায় ছাতিমডাঙ্গা আদিবাসীপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। পাশাপাশি রামচন্দ্রপুর কলোনী এলাকার ১৯ নম্বর বুথের বিএলও হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি । আশালতা দেবী জানান,এলাকার বাসিন্দারা জনমজুরির পেশায় যুক্ত থাকায় মূলত রাতের দিকে গননা ফর্ম বিতরণ ও সংগ্রহের কাজ করতে হয় রমেন্দ্রনাথবাবুকে । সেইসঙ্গে নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে রাত জেগে ডিজিটাইজেশনের কাজ করতে হয় তাকে । এদিকে ঘুমের সময় কমে যাওয়ায় স্বামীর উপর প্রচন্ড চাপ পড়ে বলে তিনি জানান ।
জানা গেছে,শনিবার রাত প্রায় আড়াইটে নাগাদ রমেন্দ্রনাথবাবু হঠাৎ বুকে ব্যথা ও বমিভাব অনুভব করেন৷ তিনি তার স্ত্রী আশালতা দেবীকে ঘুম থেকে তোলেন । এরপর আশালতা দেবী প্রতিবেশীদের সহায়তায় গাড়ি করে তার স্বামীকে তড়িঘড়ি গুসকরা হাসপাতালে ভর্তি করেন । ঘন্টা সাতেক ধরে হাসপাতালে তার স্যালাইন ও অক্সিজেন চলে । সকালের দিকে রমেন্দ্রনাথবাবু সুস্থ হলে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় । বাড়ি ফিরেই ফের তিনি এসআইআর-এর কাজ শুরু করেন । রমেন্দ্রনাথবাবু জানান,’আগামী ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ডিজিটাইজেশনের কাজ শেষ করতে হবে । হাতে সময় অল্প । এদিকে আমার এলাকার বহু ভোটারের নাম এখনও তালিকায় নেই। তাই সেই সমস্ত কাজ করতে গিয়ে খুব চাপ পড়ছে ।’ যদিও আজ নির্বাচন কমিশন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এসআইআর-এর কাজ ৭ দিন পিছিয়ে দিয়েছে । নির্বাচন কমিশন আগে আগামী ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে গননা ফর্ম (এনুমারেশন ফর্ম) জমা নিয়ে কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করার নির্দেশ দিলেও,আজ সেই দিন বাড়িয়ে ১১ ডিসেম্বর করে দিয়েছে ।।

