এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,৩০ নভেম্বর : ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর কলকাতার রাজপথে মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জির ছবি দেওয়া বড় বড় কাটআউট টাঙানো থাকত৷ তাতে লেখা থাকত “সততার প্রতীক” । কিন্তু তৃণমূল সরকারের সীমাহীন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির কারনে আজ বিরোধীদের কাছ থেকে শুনতে হয় “চোরের দল”৷ “সততার প্রতীক” লেখা কাটআউট গুলোও উধাও হয়ে গেছে ৷ কিন্তু তারপরেও সাদা শাড়ি আর নীল-সাদা হাওয়াই চটি পড়ে থাকা মমতা ব্যানার্জিকে এখনো দুর্নীতি মুক্ত বলে প্রচার চালায় তৃণমূলের ক্যাডাররা । তবে এক সময়ে তৃণমূলের লড়াকু নেত্রী বলে পরিচিত সোনালী গুহের কথায়, “বাংলায় সব থেকে বড় চোরের নাম মমতা ব্যানার্জি” ।
কোনো একটি ইউটিউব চ্যানেলে সোনালী গুহের সাক্ষাৎকারের ভিডিওটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে৷ যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি এইদিন । যেখানে সোনালী গুহেকে বলছে শোনা যাচ্ছে : “আমি বলছি, বাংলায় সব থেকে বড় চোরের নাম মমতা ব্যানার্জি । সব থেকে বড় চোর । আমাকে দিয়ে এক সময় ৫ কোটি টাকা গুনিয়েছিল । ফাইফ ক্রোর । আমি তো গুনতে গুনতে টায়ার্ড হয়েছি । আমি আর বক্সি দা । বক্সিদা এখন অস্বীকার করতে পারে৷ কোনো প্রমান নেই তো ।” যিনি সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন তিনি প্রশ্ন করেন, “টাকাটা কিসের টাকা ?” উত্তরে সোনালী গুহ বলেন, “কোনো একটা পার্টি থেকে দিয়েছিল । মানে ফান্ডে, পার্টি ফান্ডে দেয় না ইলেকশনে ।” তিনি আরও বলেছেন, “তৃণমূল পার্টি ওয়ান অফ দ্য রিচেস্ট পার্টি ইন বেঙ্গল । ওয়ান অফ দ্য কি, মোস্ট রিচেস্ট পার্টি ইন বেঙ্গল । আর বিজেপির তো পয়সা আছে । কিন্তু ওনার স্বীকার করতে ভয়টা কি ?” এরপর তিনি ফের বলেন, “আমি আবার বলছি, মমতা ব্যানার্জি…মমতা ব্যানার্জি… মমতা ব্যানার্জি সব থেকে বড় চোর ।”
ওই ভিডিওতে দীপক ঘোষেরও ভিডিও ক্লিপ সংযুক্ত করা হয়েছে । যেখানে তিনি বলেছিলেন, “টাকাপয়সার বিষয়গুলি মুকুল রায়ই তদারকি করতেন । বস্তাবন্দি করে সেগুলো মুকুল রায়ই কালীঘাটে জমা দিত । ভিডিওটি সাবির নামে একজন এক্স ব্যবহারকারী (@SabirAl72017365) শেয়ার করেছেন ।
কে এই সোনালী গুহ ?
সোনালী গুহ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন । তিনি ২০০১ সাল থেকে সাতগাছিয়ার চারবার তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হন । পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার প্রথম মহিলা ডেপুটি স্পিকারও ছিলেন । কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাকে টিকিট না দেওয়া হলে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন।।

