এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৯ নভেম্বর : গতকাল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘বহু মৃত এবং বাংলাদেশী অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর নাম রেখে দেওয়া হচ্ছে এবং নেতৃত্ব দিচ্ছেন টেন্টেড চিফ সেক্রেটারি কোরাপ্টেড মনোজ পন্থ ।’ তিনি আরও বলেন,’এখনো পর্যন্ত আমার কাছে যে খবর আছে ১ কোটি ২০ লক্ষ ভোটার ডিজিটাইজেশন বাকি আছে । আর যা ডিজিটাইজ হয়েছে তার মধ্যে সাড়ে ২৭-২৮ লক্ষ নাম বাদ গেছে । কিন্তু এই সংখ্যা অত্যন্ত অল্প ।’ তবে আজ শনিবার কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,’যত ভূয়ো না ঢোকাবে ঢোকাক, একটা একটা করে নাম কাটাবো ।’ ফের তিনি দাবি করেন যে এসআইআর-এ ১ কোটি নাম বাদ যাবে ।
প্রসঙ্গত,এসআইআর আবহে কলকাতা পুরসভা ক্যাম্প করে জন্ম শংসাপত্র বিতরণ শুরু করেছে । এই বিষয়ে শুভেন্দুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,’এই নতুন বার্থ সার্টিফিকেট দিয়ে কি করবে ? ওদের ঐ সব চিটিংবাজির ব্যবসা আমার জানা আছে । ওতে কোনো লাভ হবেনা। গতকাল যেভাবে নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল অবজারভার নিয়োগ করেছে, তারাই ধরবে। কি করেছে সব জানি আমরা।’
তিনি বলেন,’ওটিপি কাদের হাতে, ডাটা এন্ট্রি কারা করেছে, কত মৃত এবং বাংলাদেশী ভুয়া নাম তুলেছে সব তথ্য আমাদের কাছে আছে। একটা একটা ধরে কাটাব। এ তো সবে শুরু । চার তারিখের পর থেকে হবে। ৯ তারিখে ড্রাফ্ট ভোটার লিস্ট বের হবে । অনেক লম্বা দু মাসের লড়াই । চিন্তার কোন কারণ নেই।’
ওয়াকফ সংশোধিত আইন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উসকানিমূলক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ঘটে যাওয়া মূর্শিদাবাদ ও মালদায় হিংসার ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন,’মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ওয়াকফ সংশোধিত আইন নিয়ে উস্কানিতে মোথাবাড়িতে হিন্দুদের ৬৮ টা দোকান ভাঙচুর এবং লুটপাট করা হয়েছে । ধুলিয়ান শামসেরগঞ্জে হিন্দু পলায়ন হয়েছিল এই মুখ্যমন্ত্রীর জন্য । বামপন্থী সমর্থক হরগোবিন্দ দাস, চন্দন দাসকে বাড়িতে ঢুকে পশু কাটার তরবারি দিয়ে কাটা হয়েছে, এই মুখ্যমন্ত্রীর জন্য । এ আন্দোলনটা কার বিরুদ্ধে ছিল ? ওয়াকফ সংশোধিত আইনের বিরুদ্ধে নাকি হিন্দুদের বিরুদ্ধে ?’
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয় শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ায় স্থানান্তরিত করার ঘটনায় শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া,’শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া অফিস দিয়েছে, ঠিক করেছে৷ মমতা ব্যানার্জি এবং তার এই দলদাস পুলিশের সংস্রব থেকে বের করে না নিয়ে আসতে পারলে পশ্চিমবঙ্গের স্বচ্ছ নির্বাচন হতে পারেনা ।’
শুভেন্দু অধিকারী এর আগে বারবার বলেছেন যে এসআইআর-এ এক কোটির অধিক নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে । কিন্তু ছয় কোটির অধিক ডিজিটাইশনের পর ২৭ লক্ষ নাম বাদ দেওয়ার খবর রয়েছে । যা তার দাবির ধারেকাছেও নেই । এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লিখে রাখুন এক কোটি নাম বাদ যাবে। কিচ্ছু করার নেই। ফলতার জাহাঙ্গীরের মত সর্বত্র ওরা একই কাজ করেছে । কিন্তু কিছু করতে পারবে না । আধারের ডেথলিস্ট আছে । ধরে ধরে সব নাম কাটবে । তারপর তো ৬ নম্বর, ৭ নম্বর, ৮ নম্বর ফর্ম রয়েছে । আমরা বসে আছি নাকি ?’
তিনি বলেন,’ভারতীয় জনতা পার্টি প্রথম ৫১০৮৩ জন বিএলএ টু দিয়েছে৷ মুসলিম বুথে আমাদের লোক নেই । কিন্তু হিন্দু বুথ এবং মিশ্রিত বুথগুলোতে বিজেপির বিএলএ টু দেওয়া হয়েছে। আজ পর্যন্ত কখনো কোনো বিরোধীদল দিতে পারেনি। সুতরাং একতরফা হচ্ছে না। উদ্বিগ্ন হবেন না।’।

