এইদিন ওয়েবডেস্ক,নদীয়া,২৮ নভেম্বর : মেয়েদের স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে যৌনাঙ্গ দেখিয়ে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করায় এক প্রৌঢ়কে কানধরে ওঠবস করিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল স্থানীয় বাসিন্দারা৷ ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানা এলাকায় । পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় । অভিযুক্ত ব্যক্তি জানায় যে তার নাম সঞ্জয় বিশ্বাস । তার বাড়ি কৃষ্ণনগর কোতোয়ালির অন্তর্গত আমঘাটা এলাকায়। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেছেন স্থানীয়রা । যদিও অভিযুক্ত প্রৌঢ়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা জানা যায়নি ।
স্থানীয় সূত্রে খবর,আজ শুক্রবার কৃষ্ণনগরের একটি মেয়েদের স্কুলের দুই পড়ুয়া তাদের এক শিক্ষিকার সঙ্গে স্কুলে যাচ্ছিল । সেই সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে প্যান্টের চেইন খুলে তাদের যৌনাঙ্গ দেখায় বছর পঞ্চাশের সঞ্জয় বিশ্বাস । শিক্ষিকা ও তার ছাত্রীরা প্রতিবাদ করলে সে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করতে শুরু করে । স্থানীয় বাসিন্দাদের বিষয়টি নজরে পড়লে তারা ঘটনাস্থলে যায় । কিন্তু লোকজন জড়ো হচ্ছে দেখে ছুটে পালানোর চেষ্টা করে সঞ্জয়৷ কিন্তু স্থানীয় কিছু যুবক তার পিছু ধাওয়া করে ধরে ফেলে । এরপর তাকে প্রকাশ্য রাস্তায় কান ধরে ওঠবস করা হয় এবং কান ধরে একপায়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হয় ৷ ইতিমধ্যে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় । জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত সঞ্জয় নিজেকে দুর্গাপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যাপক বলে দাবি করলেও কলেজে খোঁজ নিয়ে তার অস্তিত্ব মেলেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা ।
স্থানীয় বাসিন্দা সুকান্ত দেবনাথ জানান,ইতিপূর্বেও একই কুকর্ম করেছিল ওই ব্যক্তি । তখনও তাকে প্রকাশ্যে কান ধরে ওঠবস করানো হয়েছিল । কিন্তু তার কিছুদিন পর থেকেই একই কুকর্ম করতে শুরু করে৷ তিনি বলেন,’প্রশাসনের কাছে আমি দাবি করব যে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক ।’।

