এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৭ নভেম্বর : শিশু শিক্ষাকেন্দ্রর শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মালপত্র পাচারের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া-১ ব্লকের গাঙ্গুলিডাঙ্গায় । স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ মিডডে মিলের চাল- ডাল-বাসনপত্র থেকে শুরু করে ব্যানার ফেস্টুন ও পোষ্টার পর্যন্ত পাচার করে দিচ্ছেন শিক্ষিকা আঞ্জুমারা বেগম । এনিয়ে আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে ওই শিশু শিক্ষাকেন্দ্র বিক্ষোভ দেখান । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা আঞ্জুমারা বেগম ।
কাটোয়ার গাঙ্গুলিডাঙ্গার শিক্ষাকেন্দ্রে অফিসরুম সহ মোট সাতটি ঘর রয়েছে । মিড ডে মিলের জন্য রয়েছে আলাদা ঘরের ব্যবস্থা । বেশ কয়েকজন শিক্ষিকা ছিলেন ওই কেন্দ্র । তখন পড়ুয়াও ছিল শ’তিনেক । কিন্তু শিক্ষিকারা একে একে অবসর গ্রহন করেন । পড়ুয়াও কমতে থাকে ৷ বর্তমানে ১৩০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এদিকে সর্বশেষ গতবছর একজন শিক্ষিকা অবসর নেওয়ার পর আঞ্জমারা বেগম দায়িত্বে আসেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সেন্টু শেখ,মর্জিনা বিবিদের অভিযোগ,’আঞ্জমারা বেগম দায়িত্বে আসার পর থেকেই থেকেই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের পঠনপাঠনের মান এবং পরিবেশ ভীষণ খারাপ হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি মালপত্র পাচার করতে শুরু করেন তিনি । দিন দুয়েক আগে ছাত্রছাত্রীরা যখন বাড়ি চলে যাওয়ার পর একটা টোটো ডেকে এনে চালের বস্তা, সতরঞ্জি, মনিষীদের ছবি দেওয়া পোষ্টারগুলো চাপিয়ে বাড়ি নিয়ে চলে যায় ।’এর আগে তিনি মিড ডে মিলের চাল ডাল থেকে বাসনপত্র পাচার করলে তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তারা ।
যদিও শিক্ষিকা আঞ্জুমারা বিবির দাবি,’আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে । স্কুলের ঘর পরিষ্কার করার জন্য কিছু খালি পেটি সরানো হচ্ছিল। একটি ভাঙাচোরা ওভেন ছিল। আর কিছু পাচার হয়নি।’ অভিযোগ প্রসঙ্গে কাটোয়া-১ বিডিও পঙ্কজ কোঁয়ার বলেন,’ঘটনার কথা শুনেছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।’
জানা গেছে,গৃহবধূ মর্জিনা বিবি টোটোয় করে শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের মালপত্র চাপিয়ে নিয়ে যেতে দেখে প্রতিবেশীদের ঘটনার কথা জানান । এনিয়ে দু’দিন ধরে কানাকানি চলতে থাকে । আজ স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে শিক্ষিকাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনা ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় কয়েকজন গ্রামবাসীর মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।।

