এইদিন ওয়েবডেস্ক,চট্টগ্রাম,২৭ নভেম্বর : বাংলাদেশে ফের এক উচ্চ শিক্ষিত হিন্দু তরুনীর ধর্মান্তরিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে । এবারে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাটের বাসিন্দা ডঃ পাপিয়া বিশ্বাস নামে এক চিকিৎসক গোপনে ধর্মান্তরিত হয়ে স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মহম্মদ নেজাম আহমেদকে নিকাহ করেছেন বলে জানা গেছে । বলা হচ্ছে যে মহম্মদ নেজাম আহমেদ ইতিমধ্যেই বিবাহিত এবং তার দুই সন্তানও আছে, কিন্তু সম্ভবত এই বিষয়টি পাপিয়া বিশ্বাসের কাছে গোপন করা হয়েছে । এছাড়া নেজাম আহমেদ তার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত সুর্পনা বড়ুয়া নামে আরও এক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে৷
জানা গেছে,ডাক্তারি পাস করে বিভিন্ন চেম্বারে রোগী দেখতেন পাপিয়া । তার মধ্যে ছিল ফটিকছড়ির নাজিরহাটের মহম্মদ নেজাম আহমেদ নামে ওই ব্যক্তির ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিও রয়েছে । সেই সূত্রে নেজাম আহমেদের সঙ্গে পাপিয়া বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে । ক্রমে পাপিয়ার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে নেজাম । নাজিরহাটে আলাদা ঘর ভাড়া নিয়ে তারা সেখানে বিগত এক বছর ধরে তাদের অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিল । সম্প্রতি পাপিয়া বিশ্বাস তার বাবা -মা’য়ের কাছে এই সম্পর্ক গোপন করে ধর্মান্তরিত হয়ে নেজাম আহমেদকে নিকাহ করেছেন ।
বলা হচ্ছে যে সম্পর্ক গোপন রাখতে বোরখা পরা শুরু করেছিলেন পাপিয়া । এখন অবশ্য তিনি খোলাখুলি নেকাব পরে ঘুরে বেড়ান । ডঃ পাপিয়া বিশ্বাস স্ত্রী,প্রসূতি,চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ৷ তবে ধর্মপরিবর্তন ও নিকাহ করার পর নিজের ভিজিটিং কার্ডে হিজাব পরা ছবি দিলেও নাম অপরিবর্তিত রেখেছেন তিনি ।
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজে বলা হয়েছে যে নেজামের অবৈধ সম্পর্কের বিষয়ে কিছুই জানেনা তার প্রথম স্ত্রী। এমনকি পাপিয়াও নেজামের আগের স্ত্রী ও সন্তান সম্পর্কে জানেন বলেও দাবি করা হচ্ছে৷ তবে পাপিয়ার বাবা কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে তাকে ব্রিটেনের একটি বেসরকারি সংস্থায় ডাক্তারি পড়তে পাঠিয়েছিলে । এমতবস্থায় পাপিয়া বিশ্বাস গোপনে ধর্মান্তরিত ও নিকাহ করায় বাবা-মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হিসাবে দেখছেন নেটিজেনরা ।।

