এইদিন আন্তর্জাতিক ডেস্ক,২৬ নভেম্বর : পাকিস্তান থেকে একটা বড় খবর সামনে আসছে । মিনিস্ট্রি অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স বেলুচিস্তান দাবি করেছে যে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের জেলে বন্দি ইমরান খানকে (Imran Khan) গুপ্তহত্যা করিয়েছে সেদেশের সেনাপ্রধান অসীম মুনির(Asim Munir) । মিনিস্ট্রি অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স বেলুচিস্তানের এক্স হ্যান্ডেলে এই বিষয়ে লেখা হয়েছে, “পাকিস্তানের পাঞ্জাবের কারাগার থেকে এখন খবর আসছে যে, বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইমরান খান, যিনি কারাগারে বন্দী ছিলেন, তাকে অসীম মুনির এবং তার আইএসআই প্রশাসন হত্যা করেছে। যদি এই তথ্য সত্য বলে নিশ্চিত করা হয়, তাহলে এটি সন্ত্রাসী পাকিস্তানের চূড়ান্ত অবসানের চিহ্ন। সত্যটি বিশ্বের সামনে প্রকাশ পাওয়ার মুহূর্ত থেকেই এর অবশিষ্ট বৈধতার পতন শুরু হবে।” আফগানিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই খবর আজ বুধবার প্রকাশিত হয়েছে ।
প্রসঙ্গত,পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা (Rawalpindi Jail) জেলে বন্দি রাখা হয়েছিল ইমরান খানকে । ইমরানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর হাজার হাজার সমর্থক ও ইমরান খানের বোনেরা তাদের নেতার শরীর-স্বাস্থ্যের বিষয়ে তথ্য প্রকাশের দাবিতে জেলের বাইরে জড়ো হয়েছিল। কিন্তু ইমরানের বর্তমান প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে তাদের কাছে কিছু জানানো হয়নি । ইমরান খানকে ২২ দিন ধরে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে । আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ সত্ত্বেও, ৩ সপ্তাহ ধরে পরিবারের সাথে দেখা করতে দেওয়া হয়নি ।
যেকারণে প্রশ্ন উঠছে : কেন আসিম মুনির পাকিস্তানের আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খানকে তার পরিবারের সাথে দেখা করতে দিচ্ছেন না? কেন ইমরান খানকে ৩ সপ্তাহ ধরে পরিবারের সাথে দেখা করার কোনও আইনি অধিকার থাকা সত্ত্বেও অন্ধকার নির্জন কক্ষে আটকে রাখা হচ্ছে? পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কি তার প্রধান শত্রুকে চুপ করানোর জন্য ইমরান খানকে সত্যি গুপ্তহত্যা করিয়েছে ? আফগান টাইমসের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে বলা হয়েছে,পাকিস্তানের একটি বিশ্বস্ত সূত্র আফগানিস্তান টাইমসকে নিশ্চিত করেছে যে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে রহস্যজনকভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং তার মৃতদেহ কারাগার থেকে বাইরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গতকাল রাতে পাকিস্তানের আদিয়ালা কারাগারের বাইরে ধর্নায় বসা ইমরান খানের বোনদের টেনেহিঁচড়ে জেলের সামনে থেকে সরিয়ে আটক করে পাকিস্তানের সেনা । ইমরান খানের সঙ্গে সাপ্তাহিক সাক্ষাৎ করতে আসেন তাঁর বোনরা। সেই সময়ে তাঁদের সাক্ষাত করতে দেওয়া হয়নি। যেকারণে সন্দেহ আরও বেশি দাঁনা বাঁধছে । পরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বোনেরা জেলের বাইরেই ১০ ঘন্টা ধরে অবস্থান ধর্মঘট করে। এই ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ইমরান খানের বোন আলিমা খান, ডঃ উজমা এবং নরিন নিয়াজি এবং অন্যান্য দলীয় নেতারা তাদের সামনে এগোতে না দেওয়ায় জেলের কাছে ফ্যাক্টরি নাকাতে ধর্না শুরু করেন দ। পাকিস্তানের দৈনিক ডন-এর একটি রিপোর্ট অনুসারে, মজলিস ওয়াহদাত-ই-মুসলিমিন (MWM) নেতা আল্লামা রাজা নাসিরের অনুরোধে প্রতিবাদ প্রত্যাহার করা হয়েছিল । কিন্তু আজ আফগানিস্তানের বিভিন্ন সংবাদ চ্যানেলে প্রকাশিত ইমরানের গুপ্তহত্যার খবর যদি সত্যি হয় তাহলে পাকিস্তানের পরিস্থিতি খুব দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।।

