এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,২৫ নভেম্বর : বাংলাদেশের তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের নোবেল পুরষ্কার পাওয়া নিয়ে সেদেশের মানুষের গর্বের শেষ নেই । এমনকি ইউনূসকে “চাঁদ-তারা”র সঙ্গেও তুলনা করে বাংলাদেশের কিছু মৌলবাদী । কিন্তু ইউনূসের নোবেল পুরষ্কার পাওয়া নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন বাংলাদেশের বিতাড়িত লেখিকা তসলিমা নাসরিন । তিনি দাবি করেছেন যে ইউনূস গোটা নয়,বরঞ্চ অর্ধেক নোবেল পুরষ্কার পেয়েছিলেন । বাকি অর্ধেক দেওয়া হয়েছিল তসলিমা বেগম । অর্থাৎ তসলিমা নাসরিনের কথায়, তারা যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরষ্কার পেয়েছিলেন ।
৮৫ বর্ষীয় মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৪ সালের ৮ ই আগস্ট থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ ও ক্ষুদ্রবিত্ত ধারণার প্রেরণার জন্য তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের সাথে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। তবে কার সাথে ইউনূস নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেছিলেন তা এতদিন পরিকল্পিতভাবে অপ্রকাশিত রাখা হয়েছে ।
লেখিকা তসলিমা নাসরিন এই বিষয়ে আজ এক্স-এ খোলসা করেছেন । তিনি লিখেছেন,”মহম্মদ ইউনূস এবং তসলিমা বেগম যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরষ্কার পেয়েছিলেন। এর অর্থ ইউনূস নোবেলের অর্ধেক পেয়েছিলেন এবং তসলিমা বাকি অর্ধেক পেয়েছিলেন। তবুও নোবেলের অর্ধেক মালিক হওয়া সত্ত্বেও, ইউনূস একাই বছরের পর বছর ধরে এর পূর্ণ সম্মান উপভোগ করেছেন। যেহেতু তিনি নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন, তাই তিনি আরও অনেক পুরষ্কারও পেয়েছিলেন। তিনি কখনও কাউকে মনে করিয়ে দেননি যে তিনি একা নন – যে একজন মহিলা তার সাথে নোবেল জিতেছেন।”
তিনি আরও লিখেছেন,”সে তার সহ-প্রাপক নারীকে মুছে ফেলেছে। মানুষ তসলিমা বেগমের কথা সম্পূর্ণ ভুলে গেছে। আমি শুনেছি ইউনূস তাকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে বের করে দিয়েছিলেন। নিজেকে আলোর মধ্যে রেখে, সম্পদে ঘেরা রেখে, সে তসলিমাকে দারিদ্র্যের অন্ধকার গর্তে ফেলে দিয়েছে। এখন তসলিমা একজন অপরিচিতের মতো জীবনযাপন করে, সবার কাছে এটা অজানা। কেউ জানে না যে ইউনূসের মতো তিনিও অর্ধেক নোবেল জিতেছিলেন – তিনিও একজন নোবেল বিজয়ী। যখন একজন পুরুষ নারীবিদ্বেষী এবং চরম পুরুষতন্ত্রের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তখন সে সর্বদা যেকোনো উপায়ে একজন নারীর প্রতিভা লুকানোর চেষ্টা করবে, এমনকি তার নিজের তুচ্ছ দক্ষতাও জোরে জোরে ঘোষণা করবে। এই ষড়যন্ত্রে, ইউনূস সত্যিই দক্ষ।”।

