এইদিন ওয়েবডেস্ক,আজমগড়,২৪ নভেম্বর : ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পাওয়ার পর স্থায়ীভাবে লন্ডনে চলে যান উত্তর প্রদেশের আজমগড়ের মাদ্রাসা শিক্ষক মওলানা শামসুল হুদা খান । কিন্তু লন্ডনে বসেই তিনি পেয়ে গেছেন লক্ষ লক্ষ টাকা বেতন । সেই টাকাতেই পাকিস্তান ভ্রমণ করে ভারত বিরোধী কর্মকাণ্ড চালায় সে । বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর এখন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার । ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে আজমগড়ে নিযুক্ত চার জেলা সংখ্যালঘু কল্যাণ কর্মকর্তাকে এই মামলায় বরখাস্ত করা হয়েছে।সরকার কর্তৃক বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন সংখ্যালঘু কল্যাণ বিভাগের বর্তমান যুগ্ম পরিচালক শেষনাথ পান্ডে, গাজিয়াবাদে নিযুক্ত সাহিত্য নিকাশ সিং, আমেঠিতে নিযুক্ত প্রভাত কুমার এবং বেরিলিতে নিযুক্ত জেলা সংখ্যালঘু কল্যাণ কর্মকর্তা লালমান। পাশাপাশি হুদা খানের ১৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । শামসুলের ছেলে তৌসিফ রাজা এখনও পলাতক ।
আজতকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,উত্তরপ্রদেশের সন্ত কবির নগরের খলিলাবাদ এলাকার বাসিন্দা মাওলানা শামসুল হুদা খান আজমগড়ের মাদ্রাসা আশরাফিয়া মিসবাহ-উল-উলূমের শিক্ষক ছিলেন। দাওয়াত-ই-ইসলামির সদস্য মাওলানা শামসুল হুদা খান ভারতীয় নাগরিকত্ব ত্যাগ করে ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর লন্ডনের নাগরিক হন। লন্ডনের নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও, মাদ্রাসার ব্যবস্থাপক, অধ্যক্ষ এবং বিভাগীয় কর্মকর্তাদের যোগসাজশে শামসুল হুদা ২০১৭ সালের জুলাই পর্যন্ত বেতন পেতে থাকেন।
শুধু তাই নয়, ভিআরএস নেওয়ার পর মাওলানা শামসুল হুদা খান তার জিপিএফ এবং পেনশনও পেয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হয়েছিল এবং ২০২২ সালের জানুয়ারিতে, আজমগড়ের এডিএম প্রশাসন ১৬.৫৯ লক্ষ টাকা আদায়ের আদেশ জারি করেছিল । আজমগড়ের মাদ্রাসা আশরাফিয়ার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তীব্র হয়েছে।
গত মাসে, সংখ্যালঘু কল্যাণ বিভাগের রিপোর্টের ভিত্তিতে, ইউপি এটিএসের বারাণসী ইউনিট তাদের তদন্ত রিপোর্টে বলেছিল যে, মাদ্রাসা শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময়, শামসুল হুদা খান অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানে তিন থেকে চারবার ভ্রমণ করেছিলেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে শামসুল হুদা খানের পাকিস্তান এবং কাশ্মীরের অসংখ্য ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ ছিল, যার ফলে তার পুরো কার্যকলাপ সন্দেহজনক হয়ে ওঠে।
এটিএস রিপোর্টের ভিত্তিতে, সন্ত কবির নগরের খলিলাবাদে শামসুল হুদা খানের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং সরকার এখন তৎকালীন আজমগড় জেলা সংখ্যালঘু কল্যাণ কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেছে যারা তার বেতন বিতরণ করেছিলেন।।

