প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৩ নভেম্বর : রাজ্যে ফের চললো গুলি। এবার ঘটনাস্থল শহর বর্ধমান। শনিবার ভর সন্ধ্যায় গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমানের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাহাটে। গুলি চলার পাশাপাশি বিবদমান দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হয়। তাদের মধ্যে দু’জনকে ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রদীপ রহমানের মামা শানে আলম ।তিনি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দুই পক্ষের মিলিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে,মাস খানেক ধরে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাহাটে একটি পুকুর ভরাট নিয়ে বিবাদ চলছে।শিল্পপতি সাবির আলি বাড়ির ভিতরে থাকা একটি পুকুর রাতারাতি বুজিয়ে নিচ্ছে। এই নিয়ে কাউন্সিলর প্রদীপ রহমানের গোষ্ঠীর লোকজনের সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই অশান্তি হয় সাবির আলির লোকজনের। কাউন্সিলর প্রদীপ রহমানের অভিযোগ, পাড়ায় পার্টি অফিসে মিটিং চলছিল।মিটিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাবির আলির মেয়ে, ছেলে সহ বেশ কয়েকজন অর্তকিতে আক্রমণ করে।হামলায় তার মামা শানে আলম ও সেখ ফিরোজ জখম হয়।
যদিও সাবির আলির মেয়ে শবনম শাহির পাল্টা অভিযোগ কাউন্সিলর প্রদীপ রহমানের লোকজন জড়ো হয়ে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা এক দেড়শো লোক ছিল।আমাদের বাড়ির একটি দরজা ভেঙে ঢুকে যাচ্ছিল।তখন নিরুপায় হয়ে তাদের বাড়িতে থাকা নিরাপত্তা কর্মী তার লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুক থেকে এক রাউণ্ড গুলি ছোড়ে।আর তাতেই তারা ভয় খেয়ে পালিয়ে যায়। রাতে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকা জখমদের দেখতে যান বিধায়ক খোকন দাস। ঘটনার খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ যায় গোলাহাটে।
এই ঘটনায় দু’পক্ষের লোকজন গ্রেফতার হয়েছে। এরমধ্যে যে বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষী গুলি চালিয়েছে তাকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে।ধৃতদের মধ্যে সাবির আলির বাড়ির নিরাপত্তা কর্মী সৈয়দ মোজাফর হোসেনের পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রদীপ রহমানের ২ জন অনুগামী গ্রেফতার হয়েছে । জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক ব্যানার্জী জানান,তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গেছে একজন নিরাপত্তা কর্মী গুলি চালিয়েছে। পুলিশ সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। অভিযুক্ত নিরাপত্তা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কাউন্সিলর প্রদীপ রহমানের অভিযোখ ব্যবসায়ী সাবির আলির ভাড়া করা গুণ্ডা বাহিনী তার মামা সহ বেশ কয়েকজনকে মারধর করেছে। সাবির আলির মেয়ে ও কয়েকজন আত্মীয় জোট হয়ে হামলা চালায়। গত তিন মাস ধরে গোলাহাটে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ের সামনে একটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। সাবির আলি এই পুকুর ভরাট করছে।এই নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা পৌরসভা থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।কিন্তু সাবির আলি নাছোরবান্দা। টাকা ও গায়ের জোরে প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পুকুর ভরাট করার চেষ্টা করছে।শনিবার রাতে পার্টি অফিসে মিটিং সেরে এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বাড়ি ফেরার পথে আচমকাই আক্রমণ করে সাবির আলির লোকজন।।
The Article is written by senior journalist Pradeep Chatterjee. He has been associated with print and online media for decades.

