এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২২ নভেম্বর : গত ৪ নভেম্বর থেকে এরাজ্যের ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর কাজ শুরু হয়েছে । গননা ফর্ম বিতরণ ও সংগ্রহের কাজ আগামী ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷ এরই মাঝে এসআইআর আতঙ্কে বিপুল সংখ্যায় বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীরা নিজেদের দেশে ফিরে যেতে শুরু করেছে । পাশাপাশি ভোটার তালিকায় যেসমস্ত কারচুপি ধরা পড়ছে তা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মত ৷ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আজ শনিবার এক মা ও ছেলের নাম প্রকাশ্যে এনেছেন৷ যেখানে ছেলে আব্দুল মজিদ শেখের বয়স যেখানে ৭৬ বছর, সেখানে তার মা যছিমন শেখের বয়স ৬৫ বছর দেখানো হয়েছে । অর্থাৎ ছেলের থেকে ১১ বছরের ছোট মা । যেটা বাস্তবিক সম্ভব নয় এবং এটা ভোটার তালিকায় একটা গুরুতর কারচুপির প্রমান । শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভার রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৬৪ নং বুথের৷ তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ছেলে আব্দুল মজিদ শেখের ভোটার কার্ড আইডি হল : এনআরসি ১৪৬২৫২২ । মা যছিমন শেখের ১০০ গোসাবা(তফশিলি জাতি) বিধানসভা নির্বাচনক্ষেত্রের অন্তর্গত ভোটার তালিকার অংশ নম্বর ৫৫-এ ৪০১ ক্রমিক নম্বরে নাম চিহ্নিত করা হয়েছে ।
তথ্যগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,এসআইআর (SIR) এর দৌলতে আর কত রঙ্গ দেখবে বঙ্গ !!! ছেলের বয়স ৭৬, মায়ের বয়স ৬৫ !’ তিনি লিখেছেন,’উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভার রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৬৪ নং বুথের ৭৬ বছর বয়সী ভোটার – আব্দুল মজিদ সেখ এর নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঐ ব্যক্তির বয়স বর্তমান ভোটার তালিকা (সিরিয়াল নাম্বার ৩১৪) অনুযায়ী ৭৬ বছর, তাহলে ২০০২ সালের এসআইআর (SIR) এর সময় উনি প্রাপ্ত বয়স্ক ও হিসেবে মতো বেশ কয়েক বার ভোট দিয়ে দেওয়ার কথা। ওনার নাম তখনকার তালিকায় থাকা উচিত, কিন্তু তা নেই।’
তিনি আরও লিখেছেন,’এবার আশ্চর্যের বিষয় হলো (যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে আর কোনো কিছুতেই আশ্চর্য লাগে না), যে উনি যাকে মা বলে চিহ্নিত করছেন, অর্থাৎ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গোসবা বিধানসভার ৫৫ নাম্বার বুথের ৪০১ সিরিয়াল নম্বরের ‘যছিমন সেখ’ কে, ওনার ২০০২ সালের ভোটার তালিকা অনুযায়ী বয়স হলো ৪২ বছর। তাহলে বর্তমানে ২৩ বছর পর, ২০২৫ সালে মায়ের বর্তমান বয়স গিয়ে দাঁড়ালো ৬৫ বছর। এদিকে ছেলের বর্তমান বয়স হলো ৭৬ বছর, অর্থাৎ মা হলেন গিয়ে ছেলের থেকে থেকে ১১ বছরের ছোট !’
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ,’জানা যাচ্ছে যে উক্ত ব্যক্তির ৩ ছেলেও নাকি এই ভদ্রমহিলা কে ঠাকুমা সাজিয়ে SIR -এর ফর্ম জমা দিয়েছে। এরকম নিদর্শন বর্তমানে দিকে দিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। কে কাকে বাবা মা সাজাচ্ছে, কে শশুর কে বাবা সাজিয়েছে, এরকম অনেক তথ্য সামনে আসছে।সঠিকভাবে এসআইআর (SIR) এর কাজ সম্পন্ন হলে পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা কমে যাবে ও জনবিন্যাস সংশোধিত হবেই…এই অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে, আমি নির্বাচন কমিশন কে অনুরোধ করবো এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’।

