এইদিন ওয়েবডেস্ক,আহমেদাবাদ,২২ নভেম্বর : মারাত্মক রাসায়নিক বিষ “রিসিন” ব্যবহার করে দেশজুড়ে হিন্দু নরসংহারের ষড়যন্ত্র করেছিল ধৃত সন্ত্রাসী ডাক্তার মারাত্মক বিষ “রিসিন” ব্যবহার করে নরসংহারের ষড়যন্ত্র করেছিল সন্ত্রাসী ডাক্তার আহমেদ ; জেলের অন্য কয়েদিরা তাকে বেদম পিটিয়ে বলেছেন : “তুই মানুষ মারবি ? তোকে আমরা বাইরে বেরুতেই দেবো না” আহমেদ মহিউদ্দীন সঈদ । বর্তমানে তাকে গুজরাটের সবরমতি কারাগারে রাখা হয়েছে । অবশ্য জেলের মধ্যে তাকে বিরাট পুরষ্কার দিয়েছেন অন্য কয়েদিরা । অন্য কয়েদিরা সন্ত্রাসী ডাক্তারকে বেদম পেটানোর সময় বলেছিলেন, “”তুই মানুষ মারবি? তোকে আমরা বাইরে বেরুতেই দেবো না” ।
সন্ত্রাসী ডাক্তার আহমেদ মহিউদ্দীন সঈদকে গ্রেপ্তার করে হায়দ্রাবাদ থেকে গুজরাটের সবরমতী কারাগারে পাঠানো হয়। তার নাশকতার ষড়যন্ত্রের কথা জানার পর জেলের অন্য বন্দিরা চরম ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে বেদম মারধর করে। উচ্চ-নিরাপত্তা কক্ষের বন্দিরা ডঃ আহমেদের উপর হামলা চালিয়ে দেয় । অন্য কয়েদিরা ওই সন্ত্রাসী ডাক্তারের কথা শুনে এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন যে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা যদি হস্তক্ষেপ না করতেন, তাহলে তার জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ত ।
জানা গেছে, বন্দীদের দ্বারা তার উপর আক্রমণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে সন্ত্রাসী ডাক্তার বাঁচানোর জন্য চিৎকার করে নিরাপত্তা রক্ষীদের ডাকে । সেলের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা রক্ষীরা হট্টগোল এবং তার চিৎকার শুনতে পাওয়ার সাথে সাথেই তারা ছুটে এসে সন্ত্রাসীকে হামলাকারীদের কবল থেকে টেনে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসী, ডাঃ আহমেদ, মারধরে গুরুতর আহত হয় এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সন্ত্রাসী ডাক্তার আহমেদ মহিউদ্দীন সঈদ চীন থেকে মেডিকেল ডিগ্রি অর্জন করেছিল এবং সে ভারতে অনুশীলনের জন্য প্রয়োজনীয় এমসিআই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এফআইআরে বলা হয়েছে যে, সে ক্যাস্টর অয়েল তৈরিতে ব্যবহৃত বীজ থেকে তেল বের করার পর মারাত্মক বিষ “রিসিন” তৈরি করে মন্দিরের প্রসাদ বা কোনো অনুষ্ঠানে খাবারের মধ্যে মিশিয়ে নরসংহার করার ষড়যন্ত্র করছিল । সে পাকিস্তানের কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জৈস-ই- মহম্মদের সাথে যুক্ত । একই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ডঃ আদিল আহমেদ রাথের,ডঃ মুজামিল শাকিল,জুবায়ের হাঙ্গারগেকারসহ একজন সন্ত্রাসী মহিলা ডাক্তার ডাঃ শাহীন শহীদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ ধৃত সন্ত্রাসী ডাক্তাররা সকলেই জৈশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) সন্ত্রাসী মডিউলের সাথে কাজ করছিল এবং হরিয়ানার ফরিদাবাদের আল ফালাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত ছিল বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে । সকলের কাছ থেকে বিপুল আরডিএক্স এবং অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার হয়েছে ।।

