এইদিন ওয়েবডেস্ক,কুমিল্লা,২০ নভেম্বর : আওয়ামী লীগের সমর্থক সন্দেহে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রকে ‘সন্ত্রাস বিরোধী’ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাংলাদেশের কুমিল্লায় । হতভাগ্য ছাত্রটির নাম মহম্মদ ইমরান হোসেনের (১৫)। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া এলাকায় । সে ঢালুয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ।
জানা গেছে,এফআইআর-এ ১৫ বছর বয়সী ইমরানকে ‘ছাত্রলীগ কর্মী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ আনা হয়েছে যে, সে সরকার বিরোধী স্লোগান, রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং ককটেল বিস্ফোরণসহ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল। ইমরানের পরিবারের সদস্যরা কান্না ভেজা কণ্ঠে জানান,’ইমরান নিতান্তই একজন শিশু। রাজনীতির অ আ ক খ-ও সে বোঝে না। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তার বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। পরীক্ষার ঠিক আগ মুহূর্তে তাকে এমন মিথ্যা মামলায় জড়ানোয় তার শিক্ষাজীবন আজ ধ্বংসের মুখে।’
পরিবার সূত্রে জানা গেছে,গত ১১ নভেম্বর স্কুলের বেতন ও সেশন ফি বাবদ ১৫০০ টাকা জমা দিয়েছে ইমরান হোসেন । প্রস্তুতি নিচ্ছিল আসন্ন বার্ষিক পরীক্ষার। কিন্তু গত ১৭ নভেম্বর নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে । কিশোরের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা (নং-১২/১৬৬) দায়ের করে আদালতে পাঠায়।
প্রসঙ্গত,বাংলাদেশের শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী, ১৮ বছরের নিচে কাউকে শিশু হিসেবে গণ্য করা হয় এবং তাদের আটকের ক্ষেত্রে বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। অথচ ইমরানকে সাধারণ আসামির মতো আদালতে পাঠানো হয়, যা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।
একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক স্কুলছাত্রকে এভাবে রাজনৈতিক মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতার করে তার ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেওয়ায় এলাকাবাসী ও সচেতন নাগরিক মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের প্রশ্ন, শিশু আইন লঙ্ঘন করে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়াকে পুলিশ কিভাবে দুর্ধর্ষ অপরাধীর মত ব্যবহার করতে পারে মহম্মদ ইউনূসের সরকার ? অবিলম্বে তদন্ত সাপেক্ষে ইমরানকে মুক্তি দিয়ে তার পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।।

